কোলাহল মুক্ত মনের প্রান্তরে সংকীর্ণের লেশ নাই।
মনের দ্বন্ধ মিটে গেছে, অজীর্ণের স্পর্শ হয়ে গেছে ছাই।

কোমল ভাষার মূল্য যে কত, সেটি জানা ছিলোনা?
ছিন্ন পরানে ভিন্ন রূপে, কোথা হতে তুমি এলে ললনা?

মনোহর শ্রীবাক্যে মোর মন নিয়েছো কেড়ে।
আপ্লুত হৃদয় জেগে স্বপ্ন দেখে, মন যায় তেড়ে।

মধুর স্বরি, নির্জন সরোবরে বসে ভাবি তোমায়।
মন বলে মধুর কন্ঠে ডাকছো পিছু, পূর্ণ ষোল কলায়।

মাধুর্যে ঘেরা অরূপ বদনে কথার বুলি ফোটে।
মন হরলে প্রাণ ফিরালে নব প্রীতি বটে।

লাবণ্যে জড়ানো তব নিবেদন সত্যি কথা কও।
কল্পনায় ভাবি তুমি হয়তো এমনি, মনের ভিতরে রও।

একটু শুনো সুকন্ঠি, কেন মোরে  স্বপ্ন দেখালে?
মন বৃত্তে আপন চিত্তে কেন আমায় ভাবালে?

কথার পাখি নিঠুরিয়া পাখি, রয়েছো এখনো অন্তরায়।
বিক্ষিপ্ত চোখ বারংবার তোমায় খুঁজে মনের তাড়নায়।

পল্লবের বৃষ্টি সরণির পরে এলোমেলো কল্পনা।
এই বুঝি চরণ পড়লো তব, পাবো কাঙ্ক্ষিত দর্শনা।

দুলে কবরী বড়বেশী বেণি, তোমায় চমকিত শোভনে।
অদেখায় কত আলাপন করবো গোপনে গোপনে?

মন বিবাগি তুমি বিনে, কালের গোচর কাটেনা।
দীর্ঘ প্রতীক্ষ্য অবুঝ নয়ন তবু স্বপ্ন ছাড়েনা?

অদেখা মানুষটার কন্ঠই শুনেছি শুধু কর্ণ কুহরে।
মিষ্টভাষি দুষ্ট অতি জানতে চাই তুমি কি শহুরে?

সলিল তমা, তুমি প্রেম বর্ষণা, মম মনের তমালে তমালে।
কাল বিলম্বে উদাস রইলে, মন্থরা ক্ষীণ পক্ষেরও তলে?

মম নিধি তুমি যদি হেন বাক্য তুলে, বলতে মোরে ভুলে,
সমীক্ষণের প্রহর গুনো, সাক্ষাৎ হবে দোলে।

মম হৃদয়ের অঙ্করিত প্রেমে তুমি রয়েছো রমনী।
তব মধুর বচনে পাগল হয়েছি, প্রিয় মিষ্টভাষিণী।








রচনাকালঃ ১৯/০৮/২৪ইং