শোন হে মায়াবতী,
আগন্ত্তকের ন্যায় এসেছিলে তুমি মম পরানে,
নিগূঢ় ভালোবাসায় ভরালে জীবন সুখের স্বপনে।
যবে তুমি শিশু ছিলে জানিনা কোন আর্কষণে,
পিছু পিছু যেতাম ছুটে কইতাম কথা তব সনে?
তুমি বিনে থাকা যায়না সত্যি বলি গো কানে কানে,
পর রমনীর অপেক্ষা তুমি ভিন্ন ছিলে মম প্রাণে।
রিক্ত হৃদয় পূর্ণ করেছো প্রণয় বিনিময়ে।
মুক্ত সঙ্গ যুক্ত হলো যে তোমারই অবয়বয়ে।
প্রীতি মনে অনুরক্ত দুহে ভেসেছি প্রণয় সায়রে।
সারাবেলাই তুমি ছিলে পাশে, আপ্লুত অন্দরে।
তোমাকে হারানোর ভয়ে বিষাদ হৃদয় লয়ে,
উৎকণ্ঠায় প্রহর গুনেছি কালের কলেবরে।
ছটফট পরানে ঘুরে বেড়াতাম মন্দ ভাবনা লয়ে,
অন্ধকারের অতলে ফুরিয়ে যাবো নিত্য যন্ত্রণা সয়ে।
মোহের তাড়নায় ভয়ার্থ মনে তোমাকে পাওয়ার আকুতি।
প্রভু চরণে দিয়েছি অঞ্জলি, নিবেদনে তোমাকে চাই তিথি।
হিয়ার বশীকরণে ব্যর্থ মম আপনও জীবন।
প্রেমে অন্ধ বন্দী হয়েছি দুঃখের বন্ধন!
কথার মায়ায়, ভালোবাসার ছায়ায়,
আঁখিতে কূল ভাঙ্গে হৃদয়!
মোহিত করে রেখেছো প্রিয়ে মায়া ভরা কায়ায়।
অক্ষিতটে ভাসে আজও তব ছবি, মম চোখ ভিজে কান্নায়!
তব স্মৃতি পিছু ছাড়েনা চিত্ত মরে বিক্ষেপের তাড়নায়!
অরূপ প্রতিমায় মিশে গেছে চিত্ত তোমারই মায়ায়।
রচনাকালঃ ১১/০৭/২৪ইং