আহারের সমাহার সাজিয়ে খায় ধনীর দুলাল।
পদে পদে সামনে দেয় বাহারি খাবারের থাল।
ক্ষুধায় কাতরে উঁকি মেরে দেখে রাঁধুনির ছেলেটা।
এরূপ খাবার ওদের ভাগ্যে হয়না বুঝেনা মনটা।
ভোজন লালসায় জিভে জল, গন্ধ নাকে যখন।
তাকিয়ে দেখি আর ভাবি, ওদের খাওয়া হবে কখন?
ক্ষুধার্ত পেটের ভীষণ জ্বালা সইতে না পারি!
মাকে বলবো, না থাক, এখন কি যে করি?
তীব্র ক্ষুধায় বসে সমীপে, ওরা তো ডাকলো না!
কত নিষ্ঠুর মায়া নেই কোন, গরীবের কষ্ট বুঝেনা?
ক্ষুধার উদ্রেক হয়েছে বুঝে, মায়ের লুকানো চোখের পানি!
চোখ মুছে, মা বলছে সবুর কর বাছা, এইতো এখনই আনি!
ভোজনেচ্ছু পেট মানেনা কোন বাহানা আর মানা?
তন্ময় নজরে চেয়ে আছি থালায় প্রলুব্ধ বাসনা।
নিবৃত্ত হওয়া ভীষণ দায়, দেখছি মজার খাবার?
অশান্ত চিত্ত ক্রুদ্ধ হচ্ছে মাকে বলছি আবার।
একটু পরে ক্ষুধামান্দ্যায় জিভ করবেনা তো শোক!
বিনষ্ট হবে খাবারের স্পৃহা, মলিন রবে মুখ।
উঁচু মস্তক নিচু হয় না এদের, ধনীর আবার কিসের গৌরব?
গরীব দেখেনা, রাঁধুনির মর্ম বুঝেনা, ওদের স্থান ভীষণ রৌরব!
মর্যাদার ভাষণ বুক ফুলিয়ে বলে, অট্টহাসি পায় শুনে!
ওরা তো সমাজের কীট, প্রভুর সমীপে অভিযোগ মনে মনে।
দন্ড যদি সুকঠিন হয়, তবে ক্ষুধার তাড়নাই সর্বশ্রেষ্ঠ।
অতীব কষ্টে শরীর বিকল হবে, করবে অনিষ্ঠ।
রচনাকালঃ ২৩/০৮/২৪ইং