চন্দ্রমার কিরণ যেন তব দেহের শোভা।
মানবী কায়ার জ্যোতির বলয় মেখে,
ভূতলে এসেছে নেমে।
কর্ণকুণ্ডলে চমকিত নথে মোহিত চাঁদোয়া বদনে,
ব্যাকুল মনে তৃষিত চাহনি মম নেত্র পানে।
অব্যক্ত ভাষার অস্পষ্ট স্বরের ধ্বনি
সুপ্ত বাসনার আঁচে।
বারংবার অন্বেষণে হৃদয়ের সমীপে
নিজেকে দিয়েছো মেলে।
অকুতোভয়ে হৃদয়ক্রোড়ে উন্মোচিত পণেরও সনে;
শীর্ণ দিগন্তেরও শেষে এক রজনীকালে
বসেছিলে মম পাশে  ধরে  হস্ত  দুহা।
ব্যক্ত করলে, প্রিয় ভালোবাসি তোমায়
এই পরানও দিয়া।
অভিশপ্ত প্রণয় তব, আড়াল হয়েছো ভয়ে।
কোনদিন তো খোঁজ নিলে না ?
আসোনি  সমীপে, রয়ে গেলে আপনও ভুলে।
কষ্ট চেপে মুষ্টি হস্তে,
বিটপীর বুকে সজোরে করেছি আঘাত !
কেন গো তুমি এসেছিলে মম জীবনে ক্ষণিকও পলে?
অনিত্য  করেছো মোর পরানে বাস।




রচনাকা : ১৭/১১/২১ইং
রাত: ০৯.০৩ মিনিট