হে রাধিকা, কৃষ্ণের দেহ স্বরূপা প্রেমাস্পদ রূপিণী।
তপ্তকাঞ্চনে মোড়া পূর্ণ অবয়ব আনন্দদায়িনী।

প্রভুর হৃদয় স্বরূপা, হে নিরঞ্জনা শ্রীচরণকমলে প্রণাম।
ভক্তরূপিনী মুক্তিদায়িনী লহ কৃষ্ণ মধুর নাম।

ত্রিভঙ্গমুরারির মধুর বাঁশরি রাধে রাধে সুর তোলে।
অস্থির মনে চঞ্চলা হয়ে কাঁখে কলসী নিলে।

যমুনারও তীরে এলে, প্রাণ কানাইয়েরও সনে।
ঘরে যেন রইতে পারিনা, কেন গো ডাকো মম স্মরণে?

কেমন করে রই গো শ্যাম করি আকুলি বিকুলি ?
ওহে প্রাণমম প্রেমমূর্তি শুন নির্জনে এসো, আছে সকলী।

রাই বিরহে গা জ্বলে যায় তুমি কোনখানি?
হৃদকম্পনে রাধের নাম, ডাকে যখন-তখনি!

অষ্টসখির শিরমণি রাই ঠাকুররানী, কৃষ্ণপ্রেম প্রদায়িনী।
বিহঙ্গ লতা কয় যে কথা বৃন্দাবনেশ্বরী কৃষ্ণমোহিনী।

প্রেম আনন্দ যিঁনি স্বয়ং তিঁনি মদনমোহিনী।
আস্বাদন করায় মায়াহীন মতি, ভক্তি প্রদায়িনী।

প্রভুর অন্তরে যবে ছিলে লীলাবিহীন কলেবরে।
কৃষ্ণ মনে প্রেম ছিলোনা রাধা সঙ্গ বিনে, কৃষ্ণ যেন মরে।













রচনাকালঃ ০৯/১১/২৪ইং
উৎসর্গঃ শ্রীশ্রী রাধাঠাকুর রানীর শ্রীচরণে🙏🙏🙏