শূন্য থালায় ধুঁকছে বসে অন্ন নাহি পায়।
অভাব করিল গ্রাস আজ সবে অসহায়।

অভাব লইয়া ঘুরে বেড়ায় রিক্ত চরণ-হস্তে,
জীবনের বেলা শেষ হলো বুঝি এই সূর্যাস্তে।

অভাব-অনটনে দাঁড়ায়ে কাঁদে শত যন্ত্রণায়!
বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষে মানুষ বড়ই অসহায়!

খাদ্যাভাবে যাপিত জীবন শাপিত অভিশাপে।
মরা মানুষের স্তুপ জমেছে বাঁধানো অন্ধ কূপে।

জীর্ণ দেহ কঙ্কাল-হাড় ধুঁকেধুঁকে চলে।
ময়লা আস্তরণে খোঁজে আহার, রুষ্ট  মনে কি যেন বলে?

দুর্দিন-দুর্বিপাকে যবে সর্ব মানব জাতি!
হে প্রভু তোমাতে যাচি, উদ্ধারার্থে তোমাকে লয়েই মাতি।

কুঞ্চিত চামড়ার ভাঁজে লেগে থাকা শত শোক !
উন্মাদনায় বেড়িয়ে বলে অভাব দেখে লও  মম মুখ।

র্দুদশায় হাহাকারে সবে ব্যথিত অভাব- অনটনে!
চাতক চাহনিতে তৃষিত আঁখি খুঁজে ক্ষণেক্ষণে।

দুঃখ-দৈন্য, জরা-ব্যাধি, উপনীত পৃথ্বীর বুকে।
অপারগ হয়ে মিশে গেছে পরান কাঁদে শোকে!

অভাবীর দারিদ্র্য মোচনে করিতে হইবে যতন।
মানবতার মুখ থুবড়ে পরে করে আলিঙ্গন!

অনাদরে-অযতনের রেখে যাওয়া শত-সহস্র ছাপ !
ব্যথিত কন্ঠে অভাবী কাঁদে, অভাবে নিষ্ঠুরতাই শাপ!




রচনাকাল: ১২/০৯/২০২০ইং
বিকাল: ০৪.২০ মিনিট