দ্বিমুখী প্রতিভা রপ্ত করেও নারী ভীষণ সংসারী।
অল্পতে নয় তুষ্ট আবার দেখায় বাহাদুরি।
দ্বিভাব অন্তঃস্থলে লয়ে করে ভীষণ চাতুরী।
অট্টহাসি হেসে ফিরে, নয় সে সাম্যের পূজারী।
বিজাতির সনে চলে ফিরে ভ্রষ্টা সুন্দরী।
বন্ধনে জড়ায় যখন তখন অবোধ অন্দরী।
শপদ্ মৃত্তি তলে পিষিয়ে রাখে ওহের পদতলে।
সমাজ দেখেনা মুখ চেনেনা ঘুরে ফিরে মনোবলে।
শপথের নামে মিথ্যা প্রহসনে প্রিয়কে ঠকায়।
প্রলুব্ধ মনে পুরুষের চিন্তা মনের কোণে আঁকায়।
উন্মনা চিত্ত বিস্মরণে, আপন সংসার বিবাগী হয়।
মনোকল্পনায় অন্যের ছবি মন্দ বাসনা সঙ্গে রয়।
শৃঙ্খল পরানো বড়ই কষ্ট, বাহির তার প্রিয়।
মন বসেনা ঘরের মাঝে, শরমে মাথা হয় না হেয়।
সংসর্গে লিপ্ত গোপনে গোপনে, গৃহে দেখায় নিষ্পাপ।
ঊর্ধ্ব কন্ঠে বলে ওঠে, দিলে দাও মোরে অভিশাপ।
স্বর্গসম আপন আলয় হতে সে মুক্ত হতে চায়।
বাধ-সাধের রজ্জুর তরে ঘৃণার নজরই সহায়।
মলিন রূপের দর্শন আর ভালো লাগে না।
নিত্য নতুন সুদর্শনধারীর করে প্রার্থনা।
চরিত্রই বলে অঙ্গ ঢংঙ্গের কোথায় সীমানা?
সমুখে আসেনা কথাও বলেনা শুধু করে মানা।
বন্ধন হয়তো তার জীবনে সুন্দর আসেনি।
স্বামী ভিন্ন অন্যে আসক্ত, চরিত্রহীনা দ্বিচারিণী।
রচনাকালঃ ১১/০৯/২৪ইং