তুমি যবে এসেছিলে মনের উঠানে,
তৃষিত আঁখি মেলে দিয়ে বসলে পরানে।

অলক গন্ধে মুগ্ধ হতো আমায় হৃদয়।
শেষ কিরণে চুম্বন আঁক, করতে দৃষ্টিবিনিময়!

যার তরে সব ছেড়েছি, কত বৎসর ঘরের বাহিরে বাস?
পলে পলে সেই করে মোরে পরিহাস!

এত দুঃখ কোথা রাখি ভেবে চিন্তন করি?
শ্রাবণ ঝরে ক্লান্ত চোখে তার লাগি তবু মরি!

বিরক্তি আজ মনে বসেছে নির্জনে করি শোক!
বিশ্বাস ভেঙ্গেছে, ও আমি একলা হয়েছি হাহাকার করে বুক!

কথায় কথায় করেছো ছল, বিবাদ প্রিয় তুমি।
ভুলে গিয়ে আবার ডাকো ওগো সোনামণি।

মুখরা নারী অসৎ তুমি,  বহু পরপুরুষের সনে।
প্রকৃতিই বলে হস্তিনী নারী, মিলে স্বভাবত গুণে।

ঈশ্বর বিদ্বেষী ক্রুরমতি চলনে অসদাচার,
ঘৃণ্য কর্ম নিত্য ধর্ম প্রত্যহ  চলে যার।

যাদের সহিত মিল নেই মোর, তাদের প্রতি ঘৃণা।
তাদেরই সে আপন ভাবে, বলে তোমায় মানিনা।

আপন ভেবে আঁকড়ে ধরে, ভুলে যেতাম বিভেদ!
চলে গেছো পিছু তাকাওনি, দুহের হয়েছে বিচ্ছেদ।






রচনাকালঃ ২০/০৭/২৪ইং