কাতর নয়নে চেয়ে দেখেছি তোমার চলে যাওয়া।
স্বপ্ন ভাঙার প্রহরে বসে অভিমানী হাওয়া।
তুমি বিহীন দিন চলেনা নিথর কলেবর।
নিত্য দগ্ধে আত্মচিত্ত হৃদয় কাঁপানো ঝড়!
বিরহানল প্রাণের গহিনে দাবানলের ন্যায়।
কন্ঠ ভারী মৃদু কান্নায় তব অভাবে হায়!
বিরহিত রজনী কাটাই যেন তব শূণ্যতা লয়ে।
রিক্ত আজ বিকশিত পরান, চলি তব স্মৃতি বয়ে।
বর্জিত প্রেমে কেন এসেছিলে, টুকরো করলে পরান!
রুদ্ধশ্বাসে বুক ধরফর, তবু ভাঙ্গলেনা যে মান।
বিরহপীড়িত মনে দীর্ঘশ্বাস প্রতিক্ষণে, চেয়ে থাকি সরণি!
মোর আলয়ের আলোক হয়ে সাজলে বুঝি ঘরনি।
অন্তর্দাহে সন্তপ্ত হয়ে হলাম অঙ্গার, তবু রইলে আড়ালে!
ভগ্ন হৃদয়ের যন্ত্রণা ভারী, মম ভুল তুমিই ছিলে।
মনঃকষ্ট মাত্রাতিরিক্ত দিলে হাসি মুখে।
বঞ্চনায় ভরা তোমার প্রেমে আছি বড় সুখে!
বিরহবেদনা খেলা করে আর হেসে হেসে কয়!
তুমি বন্য তুমি নগণ্য মায়া কেন রে হয়?
বিরহঅনলে নিঃশেষ হয়েছি, কপাল সাজলো মন্দে!
অনুভূতিগুলো বির্সজন দিয়েছি, বিরহ এখন কান্দে!
রচনাকালঃ ১৩/০৮/২৪ইং