বর্ষার আহবানে -
অম্বরে গর্জে মেঘ, শীতল পবন মেলে দেয় উড়না।
ঊষ্ণ প্রকৃতিতে হিম হাওয়ার অবাধ বিচরণ, ধরে নতুনের বায়না।

বাতায়ন ধারে মন ছুটে যায় সখ্য করি মিলে।
কুন্ঠা ভরে হৃদয় মাতে গো, অরণ্য প্রেম যবে দিলে।

বিটপীর শাখায় সজীবতার সঞ্চার কলি-মুকুলে।
মৃত্তি লয়ে কর্দমাক্ত মেখে খেলে গাঁয়ের ছেলে।

বাদল ধারা বদনে মেখে, এসো সখা প্রাণ জুড়াবো দুহে।
মন্দ ভাবনা ছুড়ে ফেলে, মন জানেনা কোন মোহে?

তটিনীর তটে নৌকা ভাসিয়ে বারি মাথায় লয়ে,
গেয়ে যায় গান পরম সুখে, মাঝি উত্তাল ঢেউয়ে।

চাতকের চাহনি অবসানিত হয়ে নেমে এলো বৃষ্টি।
ফোঁটার, তালে তালে আনন্দ নৃত্য জীবনের সৃষ্টি।

বৃষ্টি ভেজা কদম্বগুলি সরণিতে পড়ে রয়।
মেঠো পথে শ্যাম বালিকা অলক মেলে কয়,

মিশে যাও মম কায়া জুড়ে অবাধ্য হলে হউ,
শ্রাবণ সলিলে আঁখি-ওষ্ঠ স্পর্শ করে, শিহরিত মনে ঢেউ।

হনহনিয়ে প্রবল সমীরে, কবির আষাঢ়ের প্রেম প্রকাশ।
হৃদয় চারিণী ডাকে সমীপে, মৌন ভাঙ্গেনী লজ্জার অবকাশ।

মন রাঙ্গিয়ে সপ্তরংয়ে বৈচিত্র্যের নানান রূপের সাজ।
অল্প অল্প গল্প বলি, গোধূলি লগ্ন রক্তিম বর্ণে আজ।

নীরবতা নেমেছে প্রকৃতির মাঝে মন্দা মন্দা সুর।
বারি বর্ষণে প্লাবিত কানন ঘুরে যায় জীবনের মুড়।

অর্পণ করেছে প্রকৃতি মাতা, পৃথ্বীর বুকে লেগেছে পার্বণ।
সলিলও ধারায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়, যখন আসে আষাঢ় - শ্রাবণ।





রচনাকালঃ ২৬/০৫/২৪ইং