আনন্দঘন মুহূর্তে যবে কুবাক্য মুখে নিলে।
বিষাদময়তা বিরাজিছে  আলয়ের মধ্যস্থলে।

বক্রদৃষ্টি অভদ্র বেশে ঘুরে বেড়ায় দ্বারে দ্বারে।
আচরণে সংযম নাই,  ভুল করে বারে বারে।

মন্দ ভাগ্য ললাটে লয়ে ক্ষীণ বুদ্ধির সনে।
প্রহসনে পরিনত হয় ভদ্র সমাজের মনে।

বাধা-বিঘ্ন আপন সঙ্গী কর্মে মন্দ মন্ত্রণা।
মম ভগিনী সর্প নাগিনী কুকর্ম সে ছাড়েনা।

ধূর্ত ক্রীড়ায় পারদর্শী বটে, ভাবে মন্দ ভাবনা।
মনোরথ ভিন্ন যে তার, হাতে কর্ম ধরে না।

কুটিল স্বভাব নিয়ে থাকে অন্যকে দেয় বেদনা।
তলে তলে দ্বিমুখী মুখোশে করে বেড়ায় ছলনা।

অলক্ষী আকৃতি নেই স্বীকৃতি কোন দুয়ারে?
কপট মায়ায় ঘুরে ফিরে, সহজাত আপন নীরে।

পদাঘাতে ভূমি কম্পন দর্প আহা সে কিরে?
হীনমনা দূরভাবনা সদা থাকে অন্তরে।

মূঢ়মতি জীবনে তার দুর্গতি কখনো ছাড়েনা।
বিকল বাঞ্ছা মনের আস্থা ঢ়ংয়ে করে যাচিনা।

পলে পলে কথা শুনে, কুকর্ম সর্ব সম্মুখে যখন ব্যক্ত।
ছল ছল অশ্রু ফেলে, নিষ্পাপ চোখে সলিলে তখন সিক্ত।

স্বার্থের আঘাতে আপন-পর কাউকে সে দেখেনা।
ছিন্ন করে নাড়ির বন্ধন, ভিন্ন দলে সে একলা।

খল প্রবৃত্তিতে সে যেন কি, কাউকে বুঝতে দেয়না?
হেন স্বভাবের বেশে থাকে, নিত্য সারে বায়না ।

কটাক্ষপাত করে বারংবার দেখায় সে সুপাত্রী।
নীতি বিরোধী অপব্যাখা দানে মিলে করে মৈত্রী।

কুলনাশী নীল আঁখি, পরানে নেই তো তোর মায়া?
ক্ষয় করে নিজ বংশ, ক্ষমার অযোগ্য তুই অপয়া!







রচনাকালঃ ২১/০৮/২৪ইং