অন্ধতমসা যাপিত জীবনে আলোর কিরণ নাই।
বিধিবাম হলো শাপিত তনুর কষ্টের জীবন তাই।

তমসা এসেছে গুণ্ঠিত বেশে নির্মম প্রতিমান।
ছদ্মবেশে মেলেছে বিস্তার, তিমির ভীষণ অভিমান।

অন্ধদশায় বন্দি হয়ে কাঁটাই দিন-রাত।
অসহায়ত্ব আঁকড়ে ধরেছে জীবন অধঃপাত।

আবদ্ধ ঘরে রইলাম বসে নির্জনে একলা।
আপন দুয়ার আঁধারে ঢাকা, মনে ঘন মেঘলা।

ক্ষান্তিহীন চলার পথে যাত্রী হলাম ভাই।
অনাদরে পথের ধারে কেঁদে কেঁদে যাই।

বিশ্বাস হারিয়ে পাপের বোঝা অদৃষ্টের লিখন।
ছিন্ন হয়ে ভিন্ন বন্য জীবন, কুন্ঠিত আচরণ।

আস্থা রাখি কার তরে, কারে লয়ে করি যে বাস?
শূণ্যতা মম জীবন দর্শন আলোকহীন সকাশ।

যন্ত্রণা মোর আঁখিপ্রাতে চুপিসারে কয়,
বারংবার বলেছি বিলাসিতা তোর না হয়?

অন্ধের নড়ি লয়ে ফিরি সরণিরও পরে।
আপন মানুষের বোঝা হলাম, সুদ হবে মরে!

আমি একজন নগণ্য আনাড়ি সঙ্গ দোষে নাশ।
সদ্যপ্রাপ্ত কর্মফল হেতু, ফুরালো মনের শত আশ।

অন্ধকার গহবর কালকূট সম বিষাদময় নয়ন।
গ্রাস করলো জীবনের ওজঃ নিঃশব্দে ক্রন্দন।

অসহায়ে সহায় কেউ নেই মোর, শুধুই প্রভুবিনে।
অন্ধত্ব মম শিখিয়েছে, স্পর্ধা করোনা অহংয়েরও সনে।









রচনাকালঃ ১২/১২/২৪ইং