মম বাহুডোরে অবগাহন তব সজোরে করেছি স্থাপন।
দুটি কায়ার কোমল স্পর্শে অন্তঃ হৃদস্পন্দনের মিলন।

আলোড়িত পরানে তব হৃদের সংযোগ যবে রচালে।
মধ্যমণি মুচকি হাসে, পূত প্রণয়ের স্রোতে ভাসালে।

শিহরন লেগেছে আপ্লুত পরানে, অট্টহাসে আর নাচে।
পরান সাজিয়ে বিবিধ রঙে প্রীতির বাঁধনও যাচে।

মম পাঁজরে তব ঘনীভূত শ্বাস কেঁপে কেঁপে মরে।
শিহরণ জাগে স্কন্ধ জুড়ে, হৃদ তরঙ্গে দাবানল ঝরে।

শোভনীয় স্ব ললাটের শরম, অনুরুদ্ধ জীবনের আঁচে।
পাশাপাশি বসে হেথায় আঁখি তৃপ্ততা লয়ে বাঁচে।

শরমে মরমি জ্বালা, কাতরে কাতরে দহে, শূণ্যতার আঁধার।
বদ্ধমায়ায় আবদ্ধ কায়া, নন্দিত নন্দিত অশ্রুত হয় আবার।

মণিকুঠায় উপবিষ্ট প্রেমাস্পদ রত্ন, আঁচে হয়েছি ধণ্য।
অঙ্গাঙ্গি, মন পবনের নৌকায় পূর্ণ্যতায় প্রেম হলো গণ্য।

পবন খেলছে মূর্ছনার ছন্দে অলক গন্ধে হই গো মাতাল।
দৃষ্টি ভ্রমের কটাক্ষপাতে বারংবার, মন দেয়া যায় না সামাল।

তনুর নিশা ধরা গন্ধে ঊষ্ণ বাসনা, মোহিত করে সকাশ।।
মল্লধারি পরাভূত মনে, অঙ্গনে ক্ষিপ্র রং ধনুর আকাশ।

মনের অতলে অনলের শিখা উন্মত্ততার অশান্ত মন্থন।
বিকশিত কায়া শীতল করলো প্রণয় ভরা আলিঙ্গন।




রচনাকালঃ ০৮/০১/২৫ইং