শ্রদ্ধেয় কবি মার্শাল ইফতেখার আহমেদ রচিত "কবি ও মুদী দোকানদার" সুন্দর কবিতাখানি পাঠে চিত্তজগতে এক বিশেষ বিষাদের ছায়া জমে উঠলো। বাস্তবতার নিরিখে একজন কবিমানসের হৃদয়ের করুন অভিব্যক্তি এই কবিতায় অতি সুন্দরভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে।
একজন কবির জীবন কখনো সুখের হয়না, আর জীবনে সুখ থাকলে একজন কবি হয়ে উঠেন না। কবির বেদনা-বিদ্ধ হৃদয়ই কবিতার জন্মভূমি।যা চিরন্তন। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই আখ্যানটুকু কবিতার মূলভাবকে উপমার আকর্ষণে নান্দনিকভাবে ফুটে তুলেছে। বেদনার অনুকূলে প্রবাহিত জীবনই কবিজীবন। আপনি যা অতি প্রচ্ছন্নভাবে কবিতাটিতে এভাবে তুলে ধরেছেন " কী এক অচেনা চিনচিনে ব্যথা ! "
সৃজনশীলতা সংসার জীবনকে ততটা সমর্থন করে না এটা ধ্রুব সত্য। তথাপি, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এমন কবি বিরল যিনি কেবল কাব্যচর্চাকেই জীবনের একমাত্র ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছেন কিংবা অস্বাভাবিক জীবনাচারে অভ্যস্ত হয়েছেন। অন্য দশজন লোকের মতো কবিরাও আজ কোনো-না-কোনো চাকুরি বা ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত। অতীতেও এমনটিই ছিলো। মধ্যযুগের 'রাজকবিগণ' চাকুরিজীবী বৈ কিছু ছিলেন না। মহাকবি মিল্টন ব্রিটিশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী ছিলেন; বায়রন ছিলেন লর্ড; রবীন্দ্রনাথ জমিদারির কাজকর্ম দেখাশুনা করেছেন। যাহোক, আলোচনা অপ্রাসংগিকতার দিকে ধাবিত হতে চলেছে। ফিরে আসি আসল আলোচনায়।
আপনি যথার্থই বলেছেন কবি, " সংসার মাঝে সরলরৈখিক শান্তিগুলো অর্জন করাই ..... তাঁর কাছে কবিতার মতো সৃজন, অনবদ্য শৈল্পিকতা।"
অনেক অনেক শুভ কামনা। কবি ও কবিতার জয় হোক সতত।