একটি শিমুল আর এক টুকরো আকাশ
--সুহেল ইবনে ইসহাক
আকাশ, পাহাড়, সূর্য আর আলোর সাথে জীবনের বুঝি
অনেক বেশি অভিমান হয়েছিল ।
যে কারণে, জীবনের স্বরূপ, রঙ, আদর-ভালোবাসা, স্নেহ-মমতা
আর আনন্দ কেড়ে নিয়ে শুধু নিজেদেরকেই সাজায়নি,
বর্ণীল প্রতিচ্ছবি দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিল সরোবরের টলটলে জলের ঢেউকেও ।
মুহূর্তেই ভুলে গেলাম নীল সাজে নিজেকে অপূর্ব করে সাজিয়ে তোলা
ঝকঝকে হাসি ছড়ানো মেঘহীন আকাশকে,
অনন্য অভিমানী রূপের পাহাড়কে ।
ভুল বুঝে ফিরে আসা প্রেমিকার মতো জীবনেরা আজ
প্রকৃতির কাছে আত্মসমর্পণ করে নিয়েছে
তাই, পুরোটা গাছ ফুটন্ত লাল শিমুলে ভরে যাবে।
ফুলের এ শোভায় হৃদয় গৃহে নতুন অলংকরণের চিন্তা জাগবে,
পথিকের ক্লান্ত মনে উচ্ছ্বাসের ঢেউ খেলে যাবে,
শীর্ণকায় রাখালের মুখে মধুর সুর জেগে উঠবে,
রোদে পোড়া কৃষাণির মলিন বদন সজিবতা পাবে।
সকালের সোনালী রোদ জানালার ফাঁক পেরিয়ে আছড়ে পড়বে গায়ে।
আর সেই সূর্যের আলতো পরশে ধুসর আকাশ লাজে নীল হয়ে যাবে ।
মেঘহীন ঝকঝকে নীল আকাশ দেখাটাও মনে হলো যেন অন্য রকম আনন্দের,
দারুণ সুখের আর নীরবে উপভোগের ।
হাসিতে উদ্ভাসিত চারিদিক।
কী দারুণ একটা সকালের শুরু হলো,
চারদিকে পাহাড় ঘেরা বর্ণীল জনপদের ঘুমন্ত ঘরবাড়ি,
স্বচ্ছ টলটলে জলের হাসি, ঘাটে বাঁধা রঙিন নৌকা,
কনকনে শীতে বাতাসের সাথে দারুণ আদুরে রোদের উষ্ণ পরশ।
এমন একটি সকালে একাকী আভিজাত্যের সুখ উপভোগের জন্য আর কী চাই?
ভোরের আলো সাক্ষী হয়ে রবে একটি নতুন সূর্যোদয়ের আর
প্রাণের ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া করোনামুক্ত, বিদ্ধেষহীন
রচিত এক পৃথিবীর ইতিহাসে ।
ভালো থাকুক জীবনেরা ।
_________________________
রচনাকাল: ২৮ মে, ২০২০, টরন্টো, কানাডা।