এখন তারুণ্য জাগবার সময়,
সাথে বয়োবৃদ্ধা, গড়া যৌবন।
তোমরা কবিতা জড়ো-
দ্রোহের আগুন জ্বালাবার জন্য।
তোমরা কবিতা লিখো-
শোষিত শব্দ গুলোকে জাগাবার জন্য।
তোমরা দ্রোহের বারুদে বড়ো-
এই মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে।
ক্ষোভ,শোক, উৎকণ্ঠা
এত দম বন্ধ হওয়াঅনুভূতি,
জীবনে আগে কখনো হয়নি।
আর কত মরবে?
আর কত জ্বলবে?
এত এত লাশ?
তেমন যোগ্য সমাধী কই!
এই অবসরে মৃতপ্রায় দেয়ালগুলো
জাগ্রত হয়েছে আবার
জড়ো হয়েছে অজস্র কবিতা
বুলেটবিদ্ধ, ছোট্ট শিশুর মতোন।
এই মৃত্যুর হাহাকার-অশ্রু আর পতাকার মিছিলে
এই মৃত্যুর হাহাকার- জলন্ত ফানুসের ভীড়ে।
আজ প্রিয় স্বাধীনতা!
তোমার সন্ধানে আবারো উত্তাল-
সতেরো কোটি প্রাণ।
লাল সবুজ এর মাঝে
এক একটি রক্তের বাণ।
অশ্রু আর পতাকার মিছিলে
প্রিয় স্বাধীনতা ,আবারো উত্তাল-
তোমার সন্ধানে সতেরো কোটি প্রাণ।
আমি একটি পতাকার জন্য মরবো।
আমি হয়তো একটি কবিতার জন্য মরবো।
মৃত্যু প্লাবনে মরবো।
চারদিকে মৃত্যুহিম, ভয়ার্ত শশ্মাণ-কবর
এ ভীষণ বেদনার রক্তচোখ।
১৮র রক্ত কখনো ঠান্ডা হয় না।
১৮র রক্ত প্রতিবাদ করে,
প্রতিরোধ করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
আমাদের অস্থিমজ্জায় যে পচন ধরেছে,
তার থেকে পরিত্রাণ পেতে দরকার প্রতিবাদ।
হিংস্র শকুনদের দেখলে ভীষণ ভয় হয়।

কত মিছিলের ব্যারিকেড ভেঙে,
কত কবিতা রক্ত দিল।
কত বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে,
কত বিদ্রোহী অমর হল।
এই মর্মঘাতী বিনাশ নৃত্য দেখে
এই ঘোর অন্ধকার ছত্রভঙ্গ করে
আমি হয়তো একদিন লেখেই ফেলবো
সেই কবিতা,
যে কবিতা তরুণ -ফাঁস পড়াবে গলায়,
নির্বাসিত হবে মৃত্যু ফুঁৎকা বাজিয়ে।
যে কবিতা তরুন-ভাঙবে লোহার শিখল,
গণঅভ্যুত্থানে লিখবে নতুন ইতিহাস ।
যে কবিতা তরুন-বাড়ন্ত মগজে গজাবে মুকুল।

ধূসর নীরব কবিতাগুলো এখন আর ঘুমায় না,
দুর্যোগের ঢেউয়ে বারুদের গন্ধে জীবন ভাগাড়ে পড়ে।
আমিতো দীর্ঘ প্রাচীর ডিঙিয়ে এসেছি
এসেছি মহা শীতঘুম থেকে
অবকন্ঠিত বেদনার শব্দ-ছন্দ থেকে।
প্রিয় স্বাধীনতা !
সবাইকে বলে দিও-
আমি একটি পতাকার জন্য মরবো।
আমি হয়তো একটি কবিতার জন্য মরবো।
মৃত্যু প্লাবনে মরবো।
আমি একটি পতাকার জন্য মরবো।