হয়েছিল শুরু কোটা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে
নানারকম কর্মসূচি আর স্লোগানের ধ্বনিতে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নাম দিয়ে
স্বৈরাচার সরকারের পতন হলো ৩৬ দিনে।
হয়েছিল শুরু প্রাচ্যের অক্সফোর্ড থেকে
ছড়িয়ে পরলো চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ সারা দেশে।
ছাত্র জনতার ডাকে সবাই এক হয়ে
করলো শুরু কাজ, বৈষম্য নিরসনে।
এক দফা দাবি নিয়ে নেমেছিল ছাত্ররা
সরকারি চাকরিতে, থাকবে নাকো কোটা।
দাবিটাকে স্বৈরাচার, অযৌক্তিক বলে
বাংলা ব্লকেড দিয়ে, কর্মসূচি চলে।
বিক্ষোভ সমাবেশে স্থবির হয় ঢাকা
এরপরও কোটা নিয়ে নেই তাদের মাথাব্যথা।
হাইকোর্ট বলে সরকার চাইলেই কোটা পরিবর্তন হবে
তারপরেও ফ্যাসিস্টরা টালবাহানা করে।
চলতে থাকে বিক্ষোভ যৌক্তিক দাবিতে
দাবি না মেনে তারা বল প্রয়োগ করে।
কি থেকে কি বলবে বুঝতে পারে না স্বৈরাচার
মেধাবীদের ট্যাগ দিয়ে বলে ফেলে রাজাকার।
মধ্যেরাতে শিক্ষার্থীরা বের হয় রাস্তায়
রাজাকার, রাজাকার স্লোগানে প্রতিবাদ শুরু হয়।
শিক্ষার্থীদের দমনে তারা, হেলমেট বাহিনী নামায়
দিনভর বিরতিহীন তারা অত্যাচার চালায়।
শুরু হয় আন্দোলন আরও বেগবান
স্বৈরাচারের দোসররা পেটোয়া বাহিনী নামান।
দমন পীড়ন করেও তারা হয়না কখনো ক্ষান্ত
গুলি চালিয়েও থামাতে না পেরে হয়ে যায় তারা ক্লান্ত।
কমপ্লিট শাট ডাউন দিয়ে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামে
দাবি আদায় না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দিয়ে থামতে বলে স্বৈরাচার
ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে এ কেমন অনাচার।
সড়ক, রেলপথ অবরোধ করে ন্যায্যে দাবি চায়
গুলি করে রক্ত ঝড়াবে, তবুও নত করবে হায়!
আন্দোলন থামাতে তারা ইন্টারনেট করে বন্ধ
এত কিছু করলেও শিক্ষার্থীরা হয়নি নত।
হত্যার বিচার চাইতে গেলে হতে হয় দোষী
বাইরে তার দুঃখকষ্ট, মনের ভিতর হাসি।
আহা! মানুষের জীবনের নেই বুঝি কোন দাম?
মেট্রোরেল হতে পারলে জীবনে আসতো সুনাম।
সমন্বয়কদের নিয়ে হাউন আঙ্কেল ভাতের হোটেল চালায়
অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের বিবৃতি পেশ করায়।
এতকিছুর পরেও তো থামে নাই তো জেন-জি
নতুন করে আবার শুরু, আন্দোলনে নামবি!
নয় দফা দাবি দিয়ে মাঠে নামে শিক্ষার্থীরা
মার্চ ফর জাস্টিসে এগিয়ে যায় তারা৷
লাশের হিসাব করে খুনি শোক ঘোষণা করে
লাল রঙ ধারণ করে শিক্ষার্থীরা শোক প্রত্যাখ্যান করে।
সত্যকে মিথ্যা করে স্বৈরাচার ক্ষমতায় থাকতে চায়
গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপেও হয়নি কিছু হায়!
তবুও থাকবো যাবো নাকো, রক্ত বন্যা চায়
নয় দফা থেকে শিক্ষার্থীরা এক দফায় যায়।
অসহযোগ আন্দোলনে সারাদেশে জনসমুদ্র হয়
লাশের উপর দিয়ে স্বৈরাচার আলোচনায় বসতে চায়।
হাজার খানেক লাশ দেখেও তোমার, হয়নি মন ভাড়
দেরি না করে স্বৈরাচার তুই এক্ষুনি গদি ছাড়।
দাবি আদায়ে বলিদান হয় হাজার খানেক প্রাণ
আবু সাঈদ, ফাইয়াজ, শান্ত, মুগ্ধ এমনি কতক নাম।
ছাত্র আন্দোলনের অভ্যুত্থানে সরকার পালিয়ে যায়
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে স্বৈরাচার মুক্ত হয়।