মা মরণ কাকে বলে? কি হয় তাহলে?
আজ ও গাঁয়ে পুকুরের ধারে দেখি লোকের ভিড়,
আর একটা খাটে কেউ যেন আছে শুয়ে,
চারপাশে ফুলের তোরা, গলায় রজনী মালা,
তারপর একদল তারে দোলাতে দোলাতে নিয়ে গেল দূরে,
কত মজার! তবু কেন যে কাঁদছিল ওরা!
তুই না বলেছিলি আগে রাজারা এমন ভাবেই যায়?
মা! ওভাবে সাজাবি আমায়, দুলব চার কাধের দোলায়!
ওরে পাগল ছেলে ওকথা কি কেউ বলে!
ভাবলেও বুক ফাটে, আয় আমার বুকে আয়,
শোন ওভাবে যায় যে – আর আসেনা ফিরে,
তোর বাবাও তো গেছে তখন তুই কোলে,
আজ তুই তাই আমারও বাঁচার শখ,
শোন তবু মরণের চোখে কেউ দেয়না ফাঁকি,
সময় আসলে পরে সব কিছু ছেড়ে যেতে হয়,
ও মা! কাঁদিস কেন আমি তো আছি – কিসের ভয়?
মা তবে তুইও আমাকে যাবি ছেড়ে?
তুইও কি আসবিনা আর দেখতে আমায়?
এখন তো ডেকে ডেকে খাওয়াস, আদর করিস,
না থাকলে তুই কে ডাকবে? ঘুমাব কার কোলে?
মা আমি লাঠি নিয়ে হাতে একলাই জাগব রাতে,
যদি কেউ তোকে নিতে আসে – আমি করব লড়াই,
নয়ত দরজা বন্ধ করে তোকে নিয়ে লুকাব অন্ধকারে!
মা! বল না সত্যি কোনদিন আমায় যাবি না তো ছেড়ে?