কোন সে এক সুদূর গ্রামে
যাওয়া ছিল সবার মানা,
তারই গোপন কিছু তথ্য মজার
সেখান থেকে লুকিয়ে আনা।
নাম নাকি তার মাতাল গঞ্জ
হরেক রকম মাতাল থাকে,
কাজের তারা কেউ নয় তাই
কে আর তাদের খবর রাখে।
সকাল বেলায় ভোরের বাতাস
বিকট মদের গন্ধ ছড়ায়,
দল মাতালের বড় বোতল হাতে
সুরাখানায় ভীর টা জমায়।
পেচু, গেছো, সাহেব মাতাল
আছে প্রেমী, বিপ্লবী,
খুঁজলে যেত আরও অনেক পাওয়া
মাতাল যে এখন প্রায়ই সবই।
পেচু মাতাল চুর নেশাতে
বেহুশ থাকে পথের ধারে,
আর কুকুর যত আছে গাঁয়ে
চেঁচায় শুধু দেখলে তারে।
গেছো থাকে বন বাদারে
খোঁজে কোথায় তাল গাছে হাড়ি,
ভদ্র সে মদ খায়না তবে
তার বস্তু নেশার তালের তাড়ি।
সাহেব মাতাল চলেন বুক ফুলিয়ে
শিক্ষা ছিল গর্ব যে তার,
এখন নেশার ঝোঁকে দেখলেই ভীর
আবল তাবোল দেন লেকচার।
প্রেমিক জিনি শোকে কাতর
দেবদাস ঠিক পারোর প্রেমে,
স্বপ্নগুলি তার নিখোঁজ এখন
চলার পথও এখন মদের ডেরায় থেমে।
বাকি বিপ্লবী যে দিনদিন তার
উঠছে ফেঁপে অনেক দাবী,
রাজনীতি তাই বাড়ছে বেকার কত
দেবে বদলেই সব কে তার সঙ্গ দিবি।
ভাবি আমিও তো এক রকম মাতাল
লেখার নেশায় নতুন খবর খুঁজি,
তবে চুলকে মাথা এবার বলি
তোমরা পড় এও কোন মাতলামি বুঝি?