কবর
জীবনের আজ আশি বসন্ত পার
এবছরেই হয় বুঝি প্রানের মেয়াদ শেষ,
মরণের দূত তড়িঘড়ি করে দাঁড়াবে দোয়ারে এসে
কেড়ে নেবে প্রান শুধু পরে রবে দেহটা নিস্তেজ।

ধর্মে হিন্দু তাই শয্যা বানাবে কাঠের
আগুনের আঁচে শেষ দেহটাও হবে ছাই,
আমি যে ছিলাম তার সাক্ষ্য মিশবে হাওয়ায়
নয় স্বপ্ন, আমিও চির স্মৃতি হয়ে থাকতে চাই।

আমি কৃপণ, কাঙাল বা জমেছে অনেক মায়া
স্বাধীনতা থেকে আধুনিকতার এঁকেছি অনেক ছবি,
জানি সব ধুয়ে মুছে নেবে নির্দয় সময় চাকা
বাঁচাব কিভাবে সেগুলি আমিতো নই কবি।

আছে উপায় ! সেও যে সমাজ বিরোধী
তবে আজ ব্যস্ত সমাজ রাখে না কোন খবর,
স্বার্থটা যেখানে প্রধান – ভাবনার মূল্য নেই
তাই অগ্নিশয্যা নয় আমার বিছানা হবে কবর।

ছাই বা ধোঁয়া হয়ে সেই আবার ক্লান্ত সময়
ঝড়ের গতিতে ছুটতে হবে বাধ্য অবিরাম,
সইবেনা সব আমি লুকাবো মাটির ভীতর
নেই কোলাহল পাব শান্তি আর দীর্ঘ বিশ্রাম।

এইভাবেই কাটবে বছর আর স্তম্ভে লেখা নাম
হয়ত সময় সমাধি গুড়িয়ে বানাবে ধুলোর স্তূপ,
আমি থাকব তখনও ঘুমিয়ে আগের মতই
মটির বুকেতে নিরাপদ অফুরন্ত সুখে খুব।