।। মৃত্যুমুখী ।।
মৃত্যুমুখী সুখের তরে সে নিঃশেষ করে নিজেকে ক্রমশ,
অনাদরে কাঁদে প্রাণ
হৃদয় মাঝেই সিংহদুয়ার,না বুঝে বেকুব অন্যের ঘরে
খুঁজে চলেছে পরিত্রাণ।।
চোখদুটো হয় অন্ধ ক্রমশ,নিভে যেতে থাকে পুরাতন
আলোদের কারবার
শরীর জুড়ে চলতে থাকে কোনো অশরীরী কোলাহল আর শুন্য হাহাকার ।।
তার পৃথিবীতে জ্বলছে আগুন,বৃষ্টি আসেনি নিয়তির কোন অজানা দোষে
তাই মেঘলা দেখেই চেঁচিয়ে সে বলে "ঝরাও পানি" অসম্ভব আক্রোশে।।
ভিজে চোখ দুটো উগ্র ক্ষিদেয় কাতরাতে থাকে,খাদ্য জোটে না,ক্লান্তিতে ছারখার
জলের আশায় কান পেতে থাকে শুনতে কোনো এক
বেনামি চাতকের চিৎকার।।
বিশৃঙ্খল গোলকধাঁধায় নোঙরছেঁড়া হৃদয় চাইছে নিয়ত
আসতে কিনারায়
কিন্তু খেয়ালখুশির সময় যে শেষ,শীর্ণ মানসে জাগছে হয়ে তা প্রেতের অভিপ্রায় ।।
সে হেসেছে আগেও কিন্তু কখনো পায়নি প্রেমের বহুচর্চিত
চিরন্তনী স্নান
ভেবেছে সে ওটা রূপকথা কোনো,বাস্তবে এসে বুঝলো তার এই
ক্ষয়িষ্ণু প্রাণে আসছে অবসান।।
পরিশেষে,বসুধা মাঝে চিতায় জ্বলে শ্রান্ত প্রাচীন পৃথিবী পুরাতন মোহ-বন্ধন ছিঁড়ে
সৃষ্টি এভাবে ধ্বংস সেজে নিজেই নিজের অবসান মাগে,
মৃত্যুমুখী হয়েছে সে ধীরে ধীরে ।।