দিগন্তে আজ গোধূলির আলো পরেছে

সেই পানে তব অনিমেষ দৃষ্টি চেয়ে রয়েছে।

স্থির গম্ভীর উজ্জ্বল সেই আঁখি

চেয়েছে, তারা খোঁচিত গগনের অঙ্গনে আজি।

রবি শশী গ্রহ তারা আপন শোভায় সাজায় ধরা

নয়নে নয়ন মেলে মিশেছে তারা ওই অসীম অনন্তে।

যে দৃষ্টি দেখেছে উদয়ের রক্তিম রবিকে

সময়ের চোরা স্রোতে রইলো চেয়ে গোধূলির আলোর পানে।

তারা ভরা রজনী ফাল্গুনের যামিনী

কি শোভা গগনে জোৎস্না মধুর বিধুর স্নিগ্ধালোকে।

মনে মনে ভেসে ওঠে আজন্মের সেই স্মৃতি

বনানীর প্রাঙ্গনে মৃগয়ায় মন মাতে প্রেম সুখে।

চেয়ে রয় দৃষ্টি অনিমেষ দুই আঁখি

স্মৃতি ভরা গগনে সময়ের অতল গর্ভে।

কি সুখ নব আশা মনে মনে স্মৃতি বোনা

ক্ষনিকের আঁধারে মন কাঁপে তরাসে,

পাছে ফেলি হারিয়ে সুখ স্মৃতির মালাখানি

চাই তাই গগনে মনের অন্তরে।

স্থির সেই ধ্রুবজ্যোতি অনিমেষ দৃষ্টি

জাগে সদা অনুক্ষণ নিত্য প্রশান্ত মন

পারেনি বাধা হতে সংসারের মেঘ

ওই অনন্ত দৃষ্টির অসীম পানেতে।