ওই যে পথ বাঁক নিয়েছে সুদূর দিগন্তে
সর্ষে খেত ঘেরা ওই নদীর কূলে তে ।
নাম হারা ওই গ্রামখানি আজ অভিশাপে ভরা
বসতহীন দেউলি দালান বাজেনা শাখ যে -
নেই যে হেথায় রাখাল বালক,স্তব্ধ বাঁশির সুর,
ওড়ে না আর গোঠের ধুলো সাঁঝ বেলায় এখন।
দীনের দ্বারে উজাড় হলো শস্য ভরা গোলা
অনাহার আজ নিত্য সাথী মধুগড়ের হেথা।
পথের ধারে নিরঞ্জনা শুকিয়ে গেছে আজ
প্রাণের ধারা বইতো হেথায় অবসরের আলাপ।
হাজার ব্যাথা হাজার সুখে বাজতো বাঁশি হাজার সুরে
নিরঞ্জনা সাক্ষী হতো কতো গোপন অভিসার।
আজকে যখন তাকাই ফিরে দেখিনা আর সেই যোগীকে,
শিরে জটায় পরমপুরুষ মাগে না ভিক্ষা দ্বারে দ্বারে।
বদলে গেলো দিন কতো, বদলে গেলো সময়
বন্ধ হলো ঘাটের পাড়ে সংসারের আলাপ।
আর আসে না ফিঙের দল কার্তিকের হালকা শীতে
হাঁসের ন্যায় পরিযায়ী আসে না আর শীতের প্রাতে।
সর্ষে খেতের হলুদ ফুলে গুঞ্জরিত ভ্রমর ওরে
সেই গাথা আজ থাকনা গাঁথা নীলচে খাতার আড়ালে।
মন যে কাঁদে উদাস হয়ে পাইনা গন্ধ বকুল তোর
হারিয়ে গেলি আপন হতে নীরব চৈত্র সাঁঝে।
কতো স্মৃতি উদাস ফকির হরেক নামের বন পলাশী
হারিয়ে গেলো আপন হতে ছেলেবেলার গ্রামটি।