ডাকবো না তোমায় আর অমন করে বাইরে হতে
এবার যদি ডাক পাঠাই যাবো আমি সম্মুখে।
আড়াল হতে যে জন তোমায় সুধীয়েছিলো,
' কেমন আছো?'
প্রশ্ন কতো তোমার পানে রেখেছিলো নয়ন মাঝে।
বর্ষা যেন গান গেয়েছে আজ প্রভাতে দখিন পানে
বারে বারে কতো সুর তোমার মৌনবীণাতন্ত্রে।
কেতকী জুঁই কদম রাশি আনলে তুলে সাঝি মাঝে
ব্যাকুল হয়ে বাতাস সখা বইছে কেমন উদ্যোমে।
দহন জ্বালায় দগ্ধ পরাণ শীতল হলো শ্রাবন ধারায়
সৃষ্টিবীণা উঠল বেজে এমন বারিধারার পুলকে।
নেবার মানুষ ছিলো যারা এসেছে আজ দলে দলে
দেবার মানুষ বিলিয়ে গেলো উজাড় করে নিজেরে।
এই মিলনের মাঝে সখা কে মিলাবে আমারে
মিলবে কি মোর ব্যাথা তার বেদনায় গভীর শোকে!
সন্ধ্যাবেলা সুরের প্লাবন বাজে বাঁশি ওই বনে
ক্ষিতি গর্ভে গভীর কর্ষণ সস্য ফলে আনন্দে।
সৃষ্টি মধুর এই ধরা নৃত্য করে আপন মনে
কে জানে গো কোন পথে আজ গঙ্গা মেশে কালো যমুনাতে।
আপনা হতে বাজলো বীণা, বাজলো বাঁশি বর্ষাধারায়
কে জানে গো কোথায় সে হারিয়ে গেলো সৃষ্টি মাঝে
যাবার কালে শুনিয়ে গেলো আশার বচন মোর কানে।