এ যামিনী, হলো মাতাল ওগো চৈত্রনিশীথশশী
কি হেরিলে সৌম্য সুন্দর বিচিত্র এই অনন্ত নভনীল।
ওগো চৈত্রনিশীথশশী।
ফুলে ফুলে রাঙা হলো অশোকের শাখাগুলি,
মাঠে মাঠে হলুদ বরণ সর্ষের শিরগুলি,
নদীকূলে লাগে রঙ কৃষ্ণচূড়ার সবুজ পাতায় এখন।
কি সুন্দর কি কান্তি চেয়ে দেখো, ওগো চৈত্রনিশীথশশী।
এ নদীতীরে আনমন ফাগুনে কতো বাতায়নে
নয়নে নয়ন মিলে মন জানাজানি ছোঁয়াছুঁয়ি কতো হাজার ছলে।
দেখেছো কি! আড়াল হতে ওগো চৈত্রনিশীথশশী।
পথে প্রান্তে দ্বার জানলায় আলো আবছায়
ঠোঁটে ঠোঁটে হাতে হাতে কতো মিশে যাওয়া সময়ে সময়ে,
দেখেছো কি তুমি গোপনে গোপনে, ওগো চৈত্রনিশীথশশী।
শুধু আমারই পানে চাওনি কখনো,
দেখোনি মোর আঁধারে মেশানো কায়াকে।
এ শূন্যভবনছাদ স্তব্ধতা মিলায় হেথায়
একাকী কাঁদে নৈশ পবন হায়!
কতো ভাবে কতো ছলে মেঘ এসে ঢাকে মোরে
আড়াল করে তোমা'হতে হায় হায়!
আজ আমি একা তোমারি মতন, চেয়ে আছি ওই পানে
যেথায় রেখেছো দৃষ্টি, ওগো চৈত্রনিশীথশশী।