“অনুভবে অমলিন তোমার ভালবাসা”
পরিশ্রান্ত দেহ!
বিষণ্ণ মন; সেই সাথে মনে হাজারো রকমের ভাবনা।
ঠিক ভাবনা নয়; করছিলাম অনুভব তোমার ভালবাসামাখা স্মৃতিগুলো!
হঠাৎ আমার চেতন আসে এক পশলা বৃষ্টির ঝাপটায়।
গিয়ে দাঁড়ালাম জানালার কাছে।
হাত বাড়িয়ে সিক্ত হচ্ছি বৃষ্টিধারায়!
হঠাৎ এক ফুঁটা আঁখির অশ্রু গড়িয়ে পড়লো আমার চিবুক বেয়ে।
আকাশের পানে চেয়ে ভাবছি তুমিও ভাল নেই আমায় ছাড়া;
তাই তো তোমার অশ্রুধারা বৃষ্টি হয়ে ঝরছে!
আলতো করে বন্ধ করলাম আমার নেত্র দুটি।
মনে হলো হঠাৎ আমার হাতের উপর কেউ আলতো করে ছুঁয়ে দিয়ে;
কানে কানে বললো, “আমি আজো তোমায় ভালবাসি দূরে থাকলেও।
আঁখি মেলতেই কেটে গেলো আমার কল্পনা!
তুমি তো চলে গেলে আমায় একা করে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে।
ভেবো না তোমার প্রতি আমার ভালবাসা হয়েছে ক্ষীয়মাণ!
আজো তোমায় অনুভব করি আমার হৃদয়ে; আমার নিশ্বাসে।
ভালবাসি আগের মতোই তবে এখন শুধু আমারি আপন করে ভালবাসি তোমায়।
তাই তো আজো অমলিন তোমার ভালবাসা আমার অনুভবে!
হে! আমার ভালবাসার সাত রঙ্গের ললনা;
তুমি ঐ পাড়ে বসে নিজেকে সাজিয়ে নিয়ো আমার ভালবাসার রঙ্গে।
আর করো প্রতীক্ষা আমাদের সেই মধুর মিলনের হাসরের ময়দানে!