(ফেলে আসা স্মৃতি মনের কোণে যায় ভেসে ভেসে। এইটা
আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থের কবিতা।)
শিশিরস্নাত প্রভাতবেলা।
কুয়াশার চাদরে ঢাকা এই ধরিত্রী।
আকাশের বুকে নেই সূর্যের কিরণের লেশ মাত্র;
তবে মানবহৃদয়ের আকাশ দীপ্তমান খুশির আবেশে শুধু তুমি আসবে বলে।
গুণে তুমি অতুলনীয়!
জ্ঞান আর সুরের দেবী; হে মা সরস্বতী।
মাঘ মাসের এই শুক্ল পক্ষে করি তোমার বন্দনা।
নিজেকে আজ যেন লাগে এক প্রাণোচ্ছল ছোট্ট শিশু!
তোমার পূজা মানে তোমার চরণে অঞ্জলী দেয়া;
ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়ানো।
নেই পড়ালেখার চিন্তা-ভাবনা; শুধুই আনন্দ আর আনন্দ!
জানি এই সল্পসময়ের আনন্দের মাঝে;
বিষাদের পরশ দিয়ে যায় তোমার এই চলে যাওয়া।
আছি যারা শিক্ষার্থী আমরা; তারা চাই তোমার থেকে জ্ঞানের আশীর্বাদ;
যেন জ্ঞানের আলোকিত পথে নিজে পারি চলতে-
আর অন্যকেও পারি দেখাতে আলোর পথ।
সেই সাথে মানবজাতির পথ চলা হোক সুরের মূর্ছনায়!
এতো আনন্দের মাঝে হৃদয়ে বেজে উঠেছে বিষাদের সুর।
কেননা আবার একটি বছরের অপেক্ষা তোমার আগমনের!
হে! মা সরস্বতী!
তোমার এই আগমনের লগ্নে গ্রহণ করো;
তোমার সন্তানদের হৃদয় উজাড় করা অঞ্জলী।