“সুখে থেকো”
চলন্ত বাস!
বাসটি কখনো ছুটে চলেছে ধীরগতিতে-
আবার কখনো দ্রুতগতিতে।
সিটে হেলান দিয়ে; জানালার কাঁচ খুলে-
চেয়ে আছি বাহিরে!
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি; দুহাত দিয়ে স্পর্শ করলাম-
বৃষ্টির পানি।
এই বৃষ্টি যেন আমারি দুটি নয়নের অশ্রুধারা !
ভাবিনী পাঁচ মিনিটের মাঝে;
আমার জীবন হবে অনিশ্চিত।
আকাশ! আজ তো আমাদের বিয়ের কথা ছিল।
জানো খুব সুন্দর করে সেজেছিলাম আজ;
মাথায় বেলি ফুলের মালা, টিপ, চুড়ি আর শাড়ী !
ফিরিয়ে দিলে আমায় আর সেই সাথে;
আমার ভালবাসা!
তোমার নাকি দম বন্ধ হয়ে আসে-
আমার ভালবাসায়।
কোন রাগ কিংবা অভিমান নেই তোমার প্রতি।
নীরব হয়ে যাচ্ছি চলে তোমার জীবন থেকে।
আর কখনো দেখতে হবেনা এই মুখশ্রী।
ভাবনার জগত থেকে বাস্তবতায় ফিরে;
দেখলাম ধরিত্রীর বুকে নেমেছে সন্ধ্যা।
তার পরেই বাসের বাতি গেল নিভে।
দুটি নরপিশাচ আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।
তোমার প্রতি ভালবাসার ন্যায় নিজের সম্মানটুকু পারলাম না আঁকড়ে রাখতে।
আমি এখন এক ধর্ষিতা !
এই মুখশ্রী কেউ পাবেনা দেখতে এমনকি তুমিও না।
মুক্ত পাখির ন্যায় সুখে থেকো তুমি আকাশ!
হয়তো মৃত্যুর পর তোমার বুকে নয়;
প্রকৃতির আকাশের বুকে ঠাই নিবো এই আমি।