"স্নিগ্ধ অনন্যা”
সকাল ৬টা।
দিনটি ছিল শুক্রবার; শীতকাল!
যথারীতি মোবাইলের অ্যালার্ম আমায় জাগিয়ে দিলো।
ঘুমের মাঝে ভাবলাম ভালবাসার মানুষ ফোন দিয়েছে আমায় ঘুম থেকে জাগানোর জন্য।
পরের মুহূর্তে আপনমনে হেসে;
বললাম আমার তো গার্লফ্রেন্ড নেই।
আলস্য কাটিয়ে;
বিছানা ছেড়ে দুয়ার খুলে বের হলাম;
শীতের সকালের সৌন্দর্যের নির্যাস পেতে!
গাঁয়ের শিশিরভেজা ঘাসের মাঝে;
হাঁটতে লাগলাম বেশ কিছু সময় ধরে।
হাঁটতে হাঁটতে আমার আঁখি হঠাৎ স্থির হয়ে গেল;
বুঝতে পারছিলাম না এ আমার কল্পনা না বাস্তব।
আমার স্থির আঁখি দুটি শুধুই তোমায় দেখছিল।
পড়েছিলে তুমি সাদা আর লাল পাড়ের শাড়ি; তোমার চুলগুলো ছিল ভেজা।
মাঝে মাঝে কয়েকফুঁটা জলকণা;
গড়িয়ে পড়ছিল তোমার হস্তে।
প্রভাত বেলার হালকা সমীরণ-
তোমার চুলে দোল খেয়ে যাচ্ছিল।
লাগছিল তোমায় এক স্নিগ্ধ অনন্যা।
তোমার স্নিগ্ধতায় আমি যেন বিভোর হয়ে গিয়েছিলাম!
তোমার সাথে পরিচয় হবার আগেই;
তুমি চলে গেলে কখন বুঝতেই পারিনি।
হে স্নিগ্ধ অনন্যা! জানি না তোমার সাথে হবে কিনা আমার পরিচয়!
জানিনা তোমার নামটি কি! জানিনা তুমি হবে কিনা আমার ভালবাসার রাজকন্যা।
তবু প্রকৃতিকে সাক্ষী রেখে বলতে চাই তুমি সত্যি এক স্নিগ্ধ অনন্যা।
হে! স্নিগ্ধ অনন্যা!
তুমি যার জীবনের সঙ্গিনী হবে সেই মানুষটি হবে আলোকিত তোমার স্নিগ্ধতায়।