“বিবেকের দংশন”
মানুষ!
সে তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব।
বুদ্ধিমত্তা, অনুভূতি নিয়ে যাদের সৃষ্টি করেছেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা।
তবে কেন মানুষে মানুষে এতো বিদ্বেষ; হিংসা আর অভিনয়?
ভালবাসা যেমন জীবনকে ভালবাসায় পূর্ণ করে তেমনি কেড়ে নিতে পারে জীবন।
সেই ভালবাসার অপরাধীদের বিচার করতে পারেনা কোন আদালত;
পারে একমাত্র বিবেকের আদালত দিতে শাস্তি সেই অপরাধীদের।
আমি ভালবাসার অপরাধী তাই আজ বিবেক আমায় ধংশন করছে প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত।
আমি তোমার সাথে করেছিলাম ভালবাসার অভিনয়।
ছিলনা আমার কোন চাকরি তবু দেবতুল্য তোমার বাবা-মা আমাদের সম্পর্ক নিয়েছিল মেনে;
তোমায় সুখি এবং তোমার ঠোঁটের হাসি দেখবার জন্য।
বৃষ্টিভেজা রাত!
তোমার আমার বিয়ের রাত ছিল সেইদিন কিন্তু
আমি তোমার জীবন থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম;
করতে তোমায় লগ্নভ্রষ্টা!
সেইদিন নিজেকে লাগছিল মুক্ত পাখির ন্যায়।
তবে তার কয়েকদিন দিন হঠাৎ তোমার কথা-
বড্ড মনে পড়ছিল তাই গিয়েছিলাম ছুটে তোমার কাছে।
শুনলাম সেই রাতে তুমি বেছে নিয়েছিলে আত্মহননের পথ।
কেন এমন করলে এক প্রতারক প্রেমিকের জন্য?
অন্য কারোর সাথে জীবনকে সাজিয়ে নিতে।
তোমার মৃত্যুর খবর শুনবার পর থেকে আমার বিবেক;
বার বার বলে উঠছে “তুই খুনি; তুই খুনি”।
পারছি না সহ্য করতে বিবেকের এই দংশন।
জানো অরুনীমা! আমার ব্লাড ক্যান্সার তাই এই পৃথিবীতে আছি মাত্র কয়েক মাস।
তারপরেই আমি মুক্ত এই পৃথিবী আর বিবেকের দংশন থেকে!