"প্রতিবাদী নারী"
চলন্ত বাস; যাত্রী নেবার নেই কোন তিলমাত্র জায়গা।
হঠাৎ একটি সুন্দরী মেয়ে হাত দিয়ে;বাসের হেল্পারকে থামানোর নির্দেশ করল।
ভিড়ের মাঝে মেয়েটির জায়গা হল দুটি ছেলের মাঝে।
হঠাৎ মেয়েটি তার শরীরে অনুভব করলো;পেছনের ছেলেটির হাত!
লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি কিছু শব্দ করলো না বরং; মুখ বন্ধ করে সব সহ্য করে নিল।
তার কিছু পরে আরো একটি মেয়ে উঠল সেই বাসে।
সুদর্শন একটি ছেলে ইচ্ছে করে পেছন থেকে;
মেয়েটিকে জাপটে ধরল।
মেয়েটি তার নখ দিয়ে আঁচড় কাটল ছেলেটির হাতে;
ব্যথা সহ্যকরতে না পেরে নিল হাত সরিয়ে।
মেয়েটি দাঁড়ালো ঘুরে ছেলেটির সম্মুখে; ছিল পায়ে চিকন হিলের জুতা।
গলা উঁচিয়ে বাসচালক কে থামাতে বললো গাড়ি;
চলন্ত বাস গেল থেমে!
এক হাতে জুতা আর এক হাতে ছেলেটির শার্টের কলার ধরে কষে;
গালে বসিয়ে দিল দু-চারটা থাপ্পড়!
বাসের সকল যাত্রীরা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ভাবছে;
যাদের এতদিন অবলা ভেবে এসেছি তারাই আজ হয়ে উঠেছে প্রতিবাদী।
প্রতিদিন এইভাবে অনেক নারীরা লোকলজ্জার ভয়ে;
মুখ বুঝে সব সহ্য করে নেয়।
নারীদের দেখলে যাদের শরীরে পশুর হিংস্রতা উঠে জেগে;
সেইসব মানুষদের অন্যায় অবিচার রুখতে দরকার কিছু প্রতিবাদী নারীর!
[এই কবিতাটি আমার কাছে বিশেষ কেননা ডঃ কামা্ল হোসেন বলেছিলেন “আজ প্রতিবাদী নারীর প্রতিবাদী নারী কবিতা শুনলাম। নারী দিবস উপলক্ষে একটি কবিতা অনুষ্ঠানে। ৬ই মার্চ, ২০১৮]