“পতিতা নারীর ভালবাসা”
সবথেকে জঘন্য শব্দ “পতিতা”।
সমাজ কিংবা পরিবারে তাদের কোন জায়গা হয়না।
প্রতিটি মানুষ এমনকি পুরুষ মানুষ তাদের ঘৃণার চোখে দেখে;
কেননা তারা দেহ বিক্রি করে একাধিক পুরুষের কাছে।
তাইতো তাদের আশ্রয় হয় পতিতালয়ে।
প্রতি রাতে একটি পতিতার জন্য পালাক্রমে আসে এক একটি পুরুষ মানুষ।
পুরুষ মানুষ পায় নারীর দেহের সুখ আর সেই পতিতা পায় কিছু অর্থ;
যা দিয়ে চলে সেই পতিতা নারীর জীবন!
প্রতিটি পুরুষের জন্য নির্ধারিত থাকে সময়।
যে সমাজ আর পুরুষ জাতি তাদের এতো ঘৃণার চোখে দেখছে;
তারা কি কখনো ভেবেছে সেই পতিতা নারীর মনের কথা?
জানতে কি চায় একটু মমতা আর ভালবাসা দিয়ে তাদের জীবনের গল্প এই পথে আসবার?
আরে পুরুষ জাতি! একবার ভেবে দেখুন আপনারা নিজেদের সুখের জন্য;
সেই সকল পতিতাদের কাছে গিয়ে তার দেহ ভোগ করে আসেন।
তাহলে কিসের ভিত্তিতে তাদের ঘৃণার চোখে দেখেন?
পতিতা নারীরা দেহ বিক্রি করতে করতে ভালবাসার সংজ্ঞা ভুলে যায়।
তারা ভাবে সকল পুরুষ জাতি তাদের ভোগ করতে জানে ভালবাসতে জানেনা!
পতিতা নারীরা কি শুধু দেহ বিক্রি করে যাবে যতদিন তাদের দেহে প্রাণ আছে;
নাকি কোন এক ভালবাসার রাজপুত্র এসে;
ভালবাসা দিয়ে গ্রহণ করবে একজন পতিতা নারীকে?
পতিতা হলেও তারা যে মানুষ !
পতিতা নারীর ভালবাসা স্বীকৃতি পায় যেন সমাজ আর পরিবারে।
একটু সহানুভূতি হোক এক পতিতা নারীর বাঁচবার অনুপ্রেরণা!