“দুটি প্রাণীর খুনসুটি ভালবাসা”
প্রকৃতির আকাশ কালো মেঘে আছন্ন;
বয়ে যায় হিমেল বাতাস!
মনুষ্যজাতির পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে ছোট ছোট অলিগলিগুলো।
আমি এক ছোট্ট বিড়ালের ছানা!
ছোট্ট ছোট্ট নরম পায়ে পায়ে হাঁটতে হাঁটতে এসে পড়েছি এই ছোট গলিতে!
খুঁজে চলেছি খাবারের সন্ধানে; নেইকো একটুও খাবার!
মনুষ্যজাতির পদচারনায় পারছিনা ঠিকমতো হাঁটতে।
ঢুকে পড়েছিলাম ঘুটঘুটে আঁধার রুমে; আমার ছোট্ট শরীর শিহরিত হয়ে উঠলো।
বের হয়ে দেখলাম তোমার মতো বিশাল দেহের প্রাণী “কুকুর” কে!
তুমি আর আমি পরস্পরের দিকে তাকিয়ে থাকলাম অপলক দৃষ্টিতে।
ভেবেছিলাম এই বুঝি গেলো মোর প্রাণ!
আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচিয়ে শুয়ে পড়লে রাস্তার উপর।
আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করছিল চার মনুষ্যজাতি!
রাগ হচ্ছিল ভীষণ শুনে তুমি নাকি দিবে আমার ঘাড়টা মটকিয়ে।
আমি ছোট ছানা বলে করছিল তারা আমায় নিয়ে অবহেলা।
চেয়েছিলাম তোমার সাথে করবো বন্ধুত্ব;
নরম পায়ে তোমার দিকে এগিয়ে গিয়ে দিলাম একটা কামড়।
তোমার ঘুম ভেঙ্গে তুমি করে উঠলে ঘেউ ঘেউ; ভয়ে সরে গেলো সেই চার মনুষ্য জাতি!
তুমি সরে গিয়ে আবার শুয়ে পড়লে রাস্তার উপর; আমিও কিন্তু ছাড়িনি তোমার পিছু।
আবার হলাম তোমার মুখোমুখি!
বিরক্ত হয়ে তুমি চলেই গেলে আমার দৃষ্টির অগোচরে।
একটা মেয়ে মনুষ্য এসেছিল আমায় ভালবাসতে;
মেয়াউ মেয়াউ আর ক্ষিপ্ত দৃষ্টি দিয়ে দিলাম তাড়িয়ে।
মন খারাপ করে বসে থাকলাম-
একদম একা ছোট্ট এক টেবিলের নিচে কাগজের স্তুপের মাঝে;
কেননা তোমার আমার খুনসুটি ভালবাসাও পেল না কোন পরিণতি!
হে! বিশাল দেহের প্রাণী “কুকুর” ভাল থেকো সুখে থেকো;
খুঁজে নিয়ো মনের মতো জীবনসঙ্গী!
[ছোট্ট বিড়াল ছানার মনের অনুভূতি প্রকাশের চেষ্টা মাত্র। মেয়ে মনুষ্য জাতি আমি ছিলাম । খুব মিস করি এখনো আমার মুরগির ছানা, খরগোশ আর খরগোশের ছানাগুলোকে……]