“একাকী সুখী জীবন”
শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত; তারাই ধরবে দেশের নোঙর!
তাই তো বাবা-মা; ভাই-বোন ; শিক্ষকদের স্নেহের ছায়ায় বেড়ে উঠে একটি শিশু।
সভ্যতা আর মানবীয় গুন হৃদয়ে ধরণ করে উজ্জ্বল করে বাবা-মা-শিক্ষকদের মুখ!
কেউ হয় ডাক্তার; কেউ ইঙ্গিনিয়ার আবার কেউ হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী।
সবাই কি পায় বাবা-মা; ভাই-বোন আর শিক্ষকদের স্নেহ আর ভালবাসা?
কি করে সেইসকল শিশুরা সভ্য আর হৃদয়ে ধারণ করবে মানবীয় গুনাবলী?
সেইসকল হতভাগ্য ছেলেমেয়েদের মাঝে আমি একজন।
সমাজে আমার কোন অস্তিত্ব নেই; পরিচয় মিলেছে আমার “যারজ সন্তান” হিসেবে।
জানি না আমার জন্মধাত্রি মায়ের পরিচয়; শুধু জানি তিনি ফেলে গিয়েছিল আমায় ফুটপাতে।
বড় হয়েছি অনাথ আশ্রমে!
যখন এতো কঠিন সত্য জানতে পারি তখন থেকে ছিন্ন করেছি সকল বন্ধন।
আমার জীবনে নেই কোন পিছুটান; নেই বাবা-মা; নেই ভালবাসার মানুষ।
যাদের কোন পিছুটান থাকেনা তারা নাকি পৃথিবীর সবথকে সুখী মানুষ!
তাহলে আমিও একজন সুখী মানুষ; আমার কিছু হারাবার ভয় নেই!
পাবো না কারোর থেকে ভালবাসার কষ্ট।
জীবন আমার হয়েছে “যাযাবরের জীবন”।
দুবেলা দুমুঠো অন্ন খেয়ে আর রাতে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করে;
দিব্যি আমার দিন যাচ্ছে কেটে।
সুখের মুখোশ পড়ে থাকা মানুষগুলোর থেকে সত্যি আমি অনেক সুখী!
“একাকী সুখী জীবন” আমার সঙ্গী।
সেই সঙ্গীকে আশ্রয় করে একদিন এই মায়ার পৃথিবীতে থাকবেনা আমার অস্তিত্ব।
আমার নশ্বর দেহ ভক্ষণ করবে এই মায়ার পৃথিবীর হিংস্র পশুগুলো!