“জন্মধাত্রি মায়ের অশ্রুজল”
রুগ্ন শরীর; শরীরে তেমন কোন বল নেই বললেই চলে!
বয়সের ভাঁড়ে শরীরটাও যেন কুঁজো হয়ে গিয়েছে।
হোক যত ঝড় বৃষ্টি কিংবা অপ্ত রোদ; তার ঠিকানা এখন ফুটপাত।
তিনি চার পুত্র সন্তানের জননী।
তারা কি সত্যি মানবসন্তান নাকি পাষাণ সেই উত্তর নেই এই জন্মধাত্রি মায়ের কাছে।
তার চার পুত্রসন্তানেরা নামী দামী পোশাক পড়ে দামী গাড়ি চড়ে যায় তারই চোখের সামনে!
বিয়ে দিয়েছিল চার পুত্রসন্তানকে সুন্দরী চার ললনার সাথে।
নারীরা নাকি মায়ের জাত!
কথাটা কি আজ বিশ্বাস যোগ্য এই অসহায়, রুগ্ন মায়ের দিকে তাকালে?
এতো নির্যাতন; ফুটপাতে শুয়েও মা তার সন্তানদের দীর্ঘ জীবন কামনা করে অশ্রুজল ফেলে!
কি করে এই মা এতো বিশাল মনের অধিকারী?
তার সন্তানদের স্ত্রীগুলো কি কখনো পারবে এমন মায়ের মতো স্নেহময়ী হতে?
বয়সের কারণে চোখের দৃষ্টি আজ ঝাপসা।
তাই তো ভুল করে নিজের সন্তানের কাছে হাত পেতে ভিক্ষে চেয়েছিল;
যখন তার সন্তান দামী পোশাক পড়ে তার সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিল সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে!
জানিনা নিজের ইচ্ছেতে নাকি অজান্তেই মাকে ধাক্কা দিয়ে হনহন করে চলে গেলো।
মা চিনতে পেরে অশ্রুজল ফেলতে লাগলো; ছেলের কাছে ক্ষমা চাইবার সুযোগ পায়নি!
“জন্মধাত্রি মায়ের অশ্রুজল” সত্যিই সন্তানের জীবনে সুখ আনতে পারেনা।
কিছু দূর যেতেই তার সন্তান; পুত্রবধূ আর নাতনী গাড়ি চাপা পড়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল।
সেই সন্তানের শেষ চিৎকার ছিল “মা”!
মায়ের মন;
মা ছুটে যেতে চেয়েছিল সন্তানের কাছে কিন্তু সেইখানেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন;
জন্মধাত্রি স্নেহময়ী মা!