ফুলে ফুলে প্রজাপতি;
বেড়ায় উড়ে উড়ে রঙিন পাখা মেলে।
একেকটি উড়ন্ত প্রজাপতি;
বাবা মায়ের ঘর আলো করা প্রতিটি কন্যা শিশু!
দুরন্ত, প্রাণবন্ত, উচ্ছ্বসিত;
হেসে খেলে সারা বেলা।
সৃষ্টির প্রতিটি কন্যা শিশু সৃষ্টিকর্তার বড্ড যত্নের!
বড্ড মায়াবতী রূপে পাঠায় বাবা মায়ের কোলে।
মায়ের নাড়ি ছেড়া ধন আর বাবার রাজকন্যা!
সময় দেখতে দেখতে যায় যে বয়ে।
যে কন্যা শিশুটি সারাক্ষণ বেড়াতো ছুটে-
হঠাৎ করেই ভয়, নিশ্চুপ, মলিনতা গ্রাস করে।
পালিয়ে পালিয়ে বেড়ায় সে।
মা কে বলে সে ভয়ে ভয়ে;
দেখেছে যে আজ সে শরীর থেকে রক্ত যাওয়া।
মায়ের বুঝতে থাকে না অবকাশ;
মেয়ে তার করেছে পদার্পণ কৈশোরে।
প্রথম করেছে অনুভব ঋতুস্রাব!
এই ঋতুস্রাবই যে প্রতিটি কন্যা শিশুর অস্তিত্ব।
সংকোচ, ভয়, জড়তা নিয়ে;
সেই কন্যা যাত্রা করে-
জীবনের আরেকটি নতুন অধ্যায়ে।
শুধু নয় যে মা, বাবা;
পরিবারের সদস্য, শিক্ষক আর সমাজকে-
সহমর্মিতায় নতুন দিনের দিশা দেখানো;
নব অস্তিত্বের পরিচিতি প্রাপ্তি কন্যা সন্তানটিকে!