(এই কবিতাটি আমার কাছে বিশেষ। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল
"আহসান হাবীব" কে তাঁর দাদা কে নিয়ে লেখা কবিতা পড়তে
দিয়েছিলাম। সেই সাথে আমার লেখা কাব্যগ্রন্থ দিয়েছিলাম।
তিনি বলেছিলেন “ভাল লিখেছো তো খুব”।)
পরিশ্রান্ত দেহ; ঘুমজড়ানো আঁখি নিয়ে খুলে দিলাম জানালাটা।
বাহিরে বইছে অবিরামভাবে বৃষ্টিধারা!
কেমন যেন বিষণ্ণ হয়ে আছে ঐ দূর আকাশটা।
আকাশের বিষণ্ণতা দেখে-
আমার বুকের ভেতরটা কেমন যেন হাহাকার করে উঠল!
বার বার মনে পড়ছে দুটি বছর পূর্বের আজকের এই দিনটি।
আজকের এই দিনটিতে পেয়েছিলাম তোমার মৃত্যুর খবর।
সেইদিন নিজেকে-
তোমার হাজার হাজার ভক্তের মতো ভাসিয়েছিলাম অশ্রুধারায়!
আজকের এই দিনে সেইদিনও ছিল খুব বৃষ্টিধারা;
যখন তোমার ভাই; ছেলে নুহাশ করেছিল-
তোমায় চিরনিদ্রায় শায়িত তোমার প্রিয় নুহাশপল্লির;
লিচু গাছের ছায়ায় আঁধার মাটির ঘরে!
দেখো আজকেও প্রকৃতিতে অবিরাম বারিধারা বইছে।
আজো যাওয়া হয় বইমেলায় তবে কেনা হয়না তোমার বই!
নিজেদেরকে সামলে রাখি তোমার স্মৃতিটুকু আঁকড়ে ধরে;
সেই সাথে আজকের এইদিনে তোমার কবরটি স্পর্শ করে!
কেন এই মরনব্যধি ক্যানসার আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিল তোমায়?
তোমার এই মৃত্যুবার্ষিকীতে একটাই প্রার্থনা;
থেকো তুমি পরম শান্তিতে তোমার প্রিয়...
নুহাশপল্লির স্নিগ্ধ পরিবেশের লিচু গাছের ছায়ায়-
এবং সিক্ত করো নিজেকে ভক্তদের ভালবাসায়!