“সঙ্গায়িত সভ্যতা”

সভ্যতা!
যা মনুষ্য জাতির এক গৌরব পরিচয়; তাইতো মনুষ্য জাতি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব!
সভ্যতা জন্ম দেয় মানবীয় গুণাবলী মনুষ্য জাতির হৃদয়ে!
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় সভ্যতার সংজ্ঞা।
পাঠ্য-পুস্তক দেয় যে সভ্যতার ধারণা;
যখন থেকে মনুষ্যজাতি করেছে প্রথম আগুন আবিষ্কার!
সময়ের পালাক্রমে  সভ্যতার নতুন নতুন ধাপ পেরিয়েছে মনুষ্যজাতি।
আজ একবিংশ শতাব্দীতে সভ্যতার সংজ্ঞা এসে দাঁড়িয়েছে এক ভিন্ন ধারায়।
এই শতাব্দীতে সভ্যতা মানে হাত দিয়ে নয়; চামচ দিয়ে খাওয়া।
সভ্যতা মানে শার্ট-প্যান্ট; জিন্স-টপস পড়া।
সভ্যতা মানে হিন্দি আর ইংরেজী ভাষা শেখা!
সভ্যতা মানে ইটালিয়ান-চাইনিস খাবার।
সভ্যতা মানে স্মার্টফোন; ল্যাপটপ আর ইন্টারনেটের ব্যবহার জানা বাধ্যতামূলক!
সঙ্গায়িত সৌন্দর্য মানসিক আর সামাজিকভাবে;
একাকীত্বের দিকে দিচ্ছে ঠেলে সুন্দর মনের অধিকারী মানুষদের!
সেইসব মানুষেরা পারেনা নিজেদেরকে সঙ্গায়িত সভ্যতার সাথে খাপ খাওয়াতে।
শুধু জানে মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে আর হৃদয় দিয়ে ভালবাসতে!
সভ্যতা আসে হৃদয়; চিন্তাচেতনা আর পরিবার থেকে।
সঙ্গায়িত সভ্যতা হোক প্রকৃত সুন্দর হৃদয়ের প্রতিফলন!
সঙ্গায়িত সভ্যতা হোক মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করার মানসিকতা।
সঙ্গায়িত সভ্যতা হোক মনুষ্যজাতির উদারতার দৃষ্টান্ত!