“বন্ধুত্বের মুখরিত আড্ডা”
মেঘবীহীন ঝলমলে আকাশ।
সূর্যের কিরণে আলোকিত এই ধরিত্রী।
একটু হাসি একটু কান্না; একটু ভালবাসা একটু অভিমান এইতো মানব জীবন।
সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচবার জন্য থাকে সর্বদা শিক্ষার প্রতিযোগিতা;
সেইসাথে চলে মানবহৃদয়ে ঠাণ্ডা যুদ্ধ কে কতো পেলো শিক্ষাগত সার্টিফিকেট।
যতো যাচ্ছে সময়, মাস, বছর ততোই মানব হৃদয় হচ্ছে যান্ত্রিক।
মানবহৃদয়ের অনুভূতিগুলো হার মেনেছে দ্বন্দ্ব আর প্রতিযোগিতার কাছে!
যান্ত্রিকজীবনে যখন মানুষ হাঁপিয়ে উঠে তখন পেতে চায় একটু প্রাণবন্ততার আস্বাদ।
মানবজীবনে “বন্ধুত্ব” হলো প্রাণবন্ততার উৎস।
মানবহৃদয় হোক না যতোই যান্ত্রিক; হৃদয়ের গভীরে “বন্ধুত্ব” এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
“বন্ধুত্ব” দেয় বাঁচবার অনুপ্রেরণা।
“বন্ধুত্ব” শেখায় জীবনের প্রতিটি রং গায়ে মাখতে।
“বন্ধুত্ব” দেয় আশাহীন হৃদয়ে আশা; মলিন মুখে একরাশ খুশি।
“বন্ধুত্ব” মানে হাসি আর আনন্দমাখা মুখরিত আড্ডা যার মাঝে থাকেনা কোন ক্লান্তি, বিষণ্ণতা।
“বন্ধুত্ব” মানে ক্লাসের মাঝে লুকিয়ে লুকিয়ে ভাললাগার মানুষটিকে দেখা আর তাই নিয়ে তামাশা!
“বন্ধুত্ব” মানে আরেক বন্ধুর উপস্থিতি দিয়ে দেয়া; পড়া না শুনে ভালবাসার মানুষটির ছবি আঁকা!
“বন্ধুত্ব” মানে দলবেঁধে ঘুরাঘুরি আর খাওয়াদাওয়া।
বন্ধুত্বের মাঝেই জীবন বদলে দেবার অসীম ক্ষমতা;
তবে কেন এতো মলিনতা; বিষণ্ণতা; দ্বন্দ্ব, হিংসা আর প্রতিযোগিতা মনোভাব?
বন্ধুত্বের মুখরিত আড্ডায় উদ্ভাসিত হোক মানবজীবন।
মলিনতা; বিষণ্ণতা; দ্বন্দ্ব, হিংসা আর প্রতিযোগিতা দূর হয়ে মানবহৃদয় হোক ভালবাসায় পূর্ণ।