এমন একটা অসুখ ছড়াক শহর জুড়ে--
যে অসুখে সুখের খিদে বড্ড বাড়ে ;
মাঝে মাঝেই মন জুড়ে হয় বিষম জ্বর,
প্রেমের চোখ খুঁজে বেড়ায় সারা শহর।

যে অসুখে চুপ করে নাই শান্তি কোথাও,
মনের ভিতর কে যেন কয়, "মনকে ওড়াও
পলাশ রঙে রাঙিয়ে দিয়ে, নীল আকাশে";
কাউকে যেন খুঁজে বেড়ায় খুব হুতাশে।

সারা শহর এমন করেই কাউকে খুঁজুক,
এমন করেই লাল দিগন্তে সন্ধ্যা নামুক,
দীঘির দিকে তাকিয়ে সবাই দেখুক সাগর,
চিকন কানুর মতই কালো সেই সরোবর।

এমন অসুখ ছড়িয়ে পড়ুক চতুর্দিক --
মনের মত মনের খোঁজে দিগ্বিদিক
ছুটুক সবাই, পাহাড় থেকে জঙ্গলে,
চোখের মধ্যে মন দেখা যায়, প্রেম হ'লে।

সেই অসুখে ঘুম চলে যায় মাঝ রাতে,
মনের মানুষ চায় ছুঁতে মন দুই হাতে,
সেই অসুখের নাই যে পথ্য, নাই মলম;
মনের মানুষ জড়িয়ে ধরেই হয় উপশম।

তেমন একটা অসুখ হোক না মহামারী?
যেনো শহর জুড়ে সবাই তখন প্রেমে পড়ি,
দীঘির পাড়ে আমরা দু'জন দারুন রুগী,
আমরা তখন ঐ রাজপথে দুই বৈরাগী।

সেই অসুখে কেউ যাবেনা হাসপাতাল,
সবার মনে প্রেমের ঢেউ, উথাল পাথাল,
সেই অসুখে সবার চোখে রঙিন পলাশ;
রোগ প্রকোপে প্রেমের তৃষায় জ্যান্ত লাশ।

শহর জুড়ে সেই অসুখের রুগীর ভিড়,
সবার চোখে জল অথবা প্রেম সুনিবিড়,
সেই শহরে আমরা দু'জন ধরবো হাত,
ঠোঁটে আর চোখের তারায় নামবে রাত।।
                     -----•-----
২০/৩/২৪