নন্দিনী তুমি খুঁজে খুঁজে দেখো পথে-
আমার মন টা হয়ত বা পড়ে আছে,
হয়ত একাকী ভয়ে ভয়ে জড়োসড়ো
হয়ত সে তোমার পথ চেয়ে বসে আছে।
আমি তো ফিরেছি দেহটাকে টেনে নিয়ে,
সুস্থ্য সবল রোগাসোগা দেহ খানি;
মন টাকে ছেড়ে এসেছি তোমার দ্বারে--
খুঁজে ডেকে নিও দুয়ারে দৃষ্টি হানি।
যদি বা সন্ধ্যা নেমে আসে ধীরে ধীরে,
রাজনন্দিনী হয়ে তুমি নেমে এসো,
তোমার জন্যে ভাঙা মনখানি মোর
বসে আছে, তাকে বুকে টেনে ভালোবেসো।
তোমার চোখের কাজলে তীব্র কালো,
বাঁকা ভ্রু জোড়া কেঁপে কেঁপে ডাক দিলো
সেই আবাহনে নেচে নেচে মোর মন
সবকিছু ভুলে দূর দেশে পাড়ি দিলো।
গিয়েছে যখন ফিরিবার নাই আশ,
আমার এ প্রাণ, মন হীন তনু শুধু,
এখানে আমার দিনভর যত কাজ,
আমার এ দেশ মরুভূমি যেন ধূ ধূ।
তোমার দিঘীতে স্নান করে করে রোজ
ফেলে আসা মন সতেজ সবুজ হবে,
তোমার আদরে, তোমার মনের মাঝে
আমার সে মন চিরবিস্ময়ে জেগে রবে।
তুমিও আমার বুকে রেখো এলো চুল
মনে মনে আর স্বপ্নে বেসো গো ভালো,
আমিও তোমায় আঁকড়ে জড়িয়ে রবো
জ্যোৎস্নার চাঁদ দুদিকেই দেবে আলো।
এখন মোদের সব রাত পূর্ণিমা
এখন আমরা জ্যোৎস্নায় করি স্নান,
এলোমেলো হাওয়া তোমার আমার মুখে
কবিতা ফোটাবে, অথবা লিখবে গান।
কবিতা গুলো শিমুল পলাশ হবে,
গান গুলো সব রজনীগন্ধা রাতে,
তোমার অধরে লাল গোলাপের আভা
আমার দুচোখ মরে যাবে অপঘাতে।
----●----