এই সব চেনা পথে চলি সারাদিন
এই পথের সমস্ত বাঁক, চোরা গলি,
সমতল, রুক্ষ মাঠ আর সমস্ত চড়াই উৎরাই --
বহু কাল ধরে, অগনিত দিনরাতের
সাক্ষী হয়ে আছে, এই সব পথেই
আমার জেতা-হারা, আমার সমস্ত লড়াই;

এই চেনা পথে যত হাঁটি প্রতিদিন,
ততই বাড়ে ঋণ জীবনের পথে;
ততই মনে পড়ে জীবনের সব হাহাকার
হেরে যাওয়া, ঠকে যাওয়া ক্ষণ অনুক্ষণ,
এখন সন্ধ্যা নামছে দেখি নরম বিষের মত--
বাকী রাত চেনা পথ ছেড়ে পাহাড়ে হারাতে চাই।

মৃত্যুর মত হিম শীতল হাওয়া মেখে গায়ে
শীতল সাঁঝে বসবো সবুজ পাহাড়ের গায়ে
বেয়ে চলা অচেনা পথের ধারে, নরম আলোয়,
কুয়াশায় ভেজা ঝাপসা আলোয় মুছে যাবে স্মৃতি--
পাহাড়ী নদীর স্রোতে ভেসে যাবে শোক, তখনই
হটাৎ ঐ দুই চোখ -- আমি ঐ দুটি চোখেতে হারাই।

চোখের যে ভাষা দুজনে পড়েছি নিবিড় ভাবে,
কোনো কথা ছাড়া যে কথা বলেছি দুজনে চুপে চুপে
কাজলের দাগে অথবা কালো পল্লবে, হাসির ভাষায়-
সেই সব কথা গুলো ভাসবে মেঘে সেই সন্ধ্যায়,
হাসি গুলো উড়বে কফি অথবা সিগারেটের ধোঁয়ায়,
সেই পাহাড়ের গায়ে যেন আমি তোমাতে হারাই।

দীর্ঘ দিনের শেষে, জীবনের সব ঋতু পেরিয়ে,
একটি সন্ধ্যায় এসো প্রিয়া, এসো মোরা পাহাড়ে হারাই।
              ------#------
চুঁচুরা,
৩/১/২৪