ফাগুনের পরে
এসেছিলো চৈত্র খরতর,
জীবনের তাপে
পুড়েছিল পাতা, কিছু ডাল,
তবু মন ছিল ফাগুন-মাতাল।
সরস ডালে --
ছিলো পাতাও সবুজ,
ছিলো কিছু খেয়াল অবুঝ;
খর তাপে ফুটি ফাটা মাটি,
তবুও টেনেছিল জল --
খনিজ লবণ আর কিছু হলাহল
আমার শিকড় ;
তারপরে এলো সেই মেঘ,
কালো নয়নের মত সঘন সজল,
সাথে হাওয়া এলোমেলো --
কিছু পাতা ঝরে গেলো
তার হটাৎ ছোঁয়ায়;
জীর্ণ ঝরিয়ে এলো বার্তা নতুন,
হলুদ বনের মাঝে প্রেমের আগুন।
তখন শাখায় শাখায় দোল
প্রতিটি পাতায় সে কী কলরোল!!
শীতল বাতাস ছোঁয়া মুকুলের গায়,
আমার সকল ডালে ডালে
যেন ফুল ফোটাতে চায়।


ফুটেছিল ফুল,
পরাগ-মিলন-আকুল
হয়ে পাপড়ি ছড়ায়ে,
বর্ণচ্ছটায় নিজেকে সাজায়ে;
কপালে মিলন ছিলো --
বুকেতে আগুন,
চৈত্র শেষেও ছিলো
মননে ফাগুন।
মিল হলো, মিল হলো--
সেই মেঘ হলো বৃষ্টি,
কালবোশেখের সাঁঝে
সব রেনু ছিলো মিষ্টি।
মিষ্টি সে সাঁঝ, মিষ্টি রজনী,
মিষ্টি সকাল, যেন মিষ্টি রমনী।
তারপরে --
বাতাসের বেগ শান্ত হলে
ফিরে চলে গেলো মেঘ
ধীরে আপন খেয়ালে।
মাটিতে এখনো আছে
ভিজে সোঁদা গন্ধ ---
আমার সকল ডালে
আছে তার ছন্দ,
আমার সকল দেহে
সেই মেঘ-মাখা-গন্ধ।।
   ---#---
১৮/১০/২০২৪