দেখো তপ্ত ধরণী বিশ্ব উষ্ণায়নে,
ফুটিফাটা মাটি, শুষ্ক তরুশাখা--
দুপুরের রোদে ধুঁকছে কুকুরগুলো,
দোকানী ঢুলছে, দুলছে হাতপাখা।
ধুঁকছে মানুষ, পথে-ট্রেনে-বাসে-ট্রামে
কাঁধে সংসার, হাজার দায় -এর ভার,
হাঁটে তপ্ত পথের জ্বালা ধরা নিশ্বাসে,
আশে পাশে কারা, দেখেনা সে চেয়ে আর।
গরমের দিনে ব'ন পোড়ে দাবানলে,
পুড়ে যায় শব, সাজানো চিতার কাঠে;
রোজ রোজ কত মন পুড়ে খাক হয়,
পোড়া মন নিয়ে চুপচাপ বুক ফাটে।
এত এত পোড়া, চারদিকে দেখি তাই-
পোড়া মন নিয়ে কপালপোড়ার চোখে;
ধিকি ধিকি আঁচে জ্বলে যায় কত প্রেম,
মানুষ হাসে প্রেম-পোড়া ছাই মেখে।
শবের দহনে ঘি থাকে সাথে জানি,
মৃত দেহ তাও গঙ্গার জল পায়,
মৃত সংসার, তার সৎকার হয় কবে?
মৃত মন গুলো কোথায় যে ভেসে যায়!
ওগো মহাদেব, তুমি তো পাহাড়ে দেখি
বসে থাকো প্রভু, গায়ে মেখে সাদা ছাই;
আমিও খোলা আকাশের নীচে আজ,
সারা গায়ে মোর, দুটি সংসার পোড়া ছাই।।
----#----
চুঁচুড়া
২১/০৬/২০২৪