কত কথা বলা হলো না,
কত কথা ভুলেই গেলাম,
হারালো কালের গ্রাসে...
চিপে, পিষে মেরে ফেলা সেই কথার ভ্রূণ রা,
মরে গেছে নিঃশব্দে--
না জন্মাতে দেওয়া সেই ভ্রুণদের আত্মা আজও
আমার আত্মাকে ক্ষত-বিক্ষত করে চলেছে নিরন্তর।
"তোমাকে ভালোবাসি","'ভালো আছো তিলোত্তমা?"
অথবা 'চোখের দিকে চেয়ে দেখ কিছুক্ষন' –
এমন আরো কত কথা বলা হলো না।
বলা হলো না "স্নিগ্ধা, তোমার চুলের শেষ ঢাল টা মন দোলায়";
বলা গেলো না "তোমার বাঁ কাঁধের তিল টা চোখ টেনে নেয়",
অথবা--- আরো কত কিছু----
বোধ আর আবেগের কি দারুন টানাটানি,
মনের নির্দেশ ভোকাল কর্ড টা সবসময় মানেনা,
আজ পাঁজরের খাঁজে খাঁজে,
হৃদয়ের অলিন্দ, নিলয়ের প্রকোষ্ঠে,
মহাধমনী ও শিরার গায়ে গায়ে--
অসংখ্য মৃত কথার লাশ; চিপে, পিষে মেরে ফেলা
সেই কথার ভ্রুণদের গলিত শরীর--
ইচ্ছার বিরুদ্ধে গড়ে তোলা লাশকাটা ঘর।
তাকে পাশ কাটিয়ে ভালো কথা, উচিৎ কথা,
বলার যোগ্য কথারা ভীড় করে হেঁটে যায়;
যদি কথা গুলো সময়ে বলা যেত ---
ওই মেঘ থেকে বৃষ্টি নেমে আসত তখনই;
হেমন্তেও কোকিল ডাকত তেঁতুলের ডালে,
হে তিলোত্তমা, হে স্নিগ্ধা-- ক্ষমা কোরো---
আমি বাক-হন্তা হতে চাইনি।
অব্যক্ত কথাদের কবরে আমিও অর্ধেক সমাধিস্থ।
ক্ষমা কোরো, তোমরা আমায় ---ক্ষমা কোরো।।
----◆----
চুঁচুড়া
৩১/৭/২০১৯