প্রাণ খুলে চিঠি লিখবো বলে কয়েক দিস্তা কাগজ কিনেছিলাম সাথে। এক চালার আর্দ্রীকৃত ঘরে বসে শুরু করলাম চিঠি লেখা, তখন একমাত্র সঙ্গী আমার ওই একলা ঘর আর কয়েকটা চিরকুট।
পরিণামের কথা ভেবে প্রত্যেক শিরা উপশিরা তে রক্ত সঞ্চালন বাড়তে থাকে! মেরুদণ্ড বরাবর শিরশির লাভার স্রোত নেমে আসে, সময়ের পর সময় বয়ে যায় কিন্তু প্রত্যুত্তরে লেখা চিঠির কোনো জবাব আসে না!
একাকীত্বের রোগ সারাতে ভোরে হাটতে বেড়ানো, বাড়ি ফিরে চা, সস্তার কিছু খাবার. তারপর অফিস আবার অফিস থেকে ফিরে অধীর আগ্রহে বাড়ির পোষ্টবক্সে খোঁজা অপেক্ষার চিঠি! দিন শেষে রাত নামে আবার রাত শেষে দিন, সময় চলছে সময়ের মতো আমি কেবল অপেক্ষায়, উত্তরে লিখে পাঠানো খামের!
আসলে কোথাও যাওয়ার নেই, কোথাও পালানোর নেই আমার, কোথায় পালাবো? পালিয়ে যেতে চাইলেও অজানা কিছু প্রশ্নের উত্তর, কিছু স্মৃতি পিছু ছাড়বে না আমার! অনাদর কেড়ে নেয় আলাপের বাহাদুরি, কোথায় যেনো মগ্ন হয়ে যাওয়া আমি, অন্ধকারের ছায়াতেও দেখি নিজের হার, আসলে তারা যেতে পারে না কোথাও, আপন সত্তা'র সাথেই হেঁটে বেড়ায় প্রতিনিয়ত।
জবাবদিহি করবার কোনো অধিকার নেই আমার! মৃত্যুর পরোয়া না করা চিঠিতে শুধু সময়ের অপেক্ষা!
নিজেকে দমাতে পারি না, জীবন যখন আছে তখন মৃত্যু অনিবার্য!
তবে কেনো মরার আগেই মরে যাবো?
নরক যেখানে জাকজমক, স্বর্গ সেথায় অচ্ছুত,
ভাবের ঘরে মূর্খ থাকে চিরকাল অপরিচিত!
আমার ইচ্ছেরা আজ বনসাই, জমে আছে বোবা কান্নার চাপে, আজও অপেক্ষায় কোনো এক নিশি রাতে উত্তরে পাওয়া চিঠি খুলে নিজেকে পরিপূর্ণ করার, আমাকে পরিপূর্ণ হতেই হবে!
সিগারেটের শেষ টান দিয়ে, চলো যাই পাগলের গর্ভে-
নিশি রাতে চিরাগ বুজিয়ে, সস্তায় করি সার্ভে!