সকাল সকাল কলিং বেল বাজল,
পরম ভাবল ওর ভাই গিরিশ
দরজা খুলতেই দুরদার করে ঘরে ডুকে পড়ল পাড়ার গুন্ডা ন্যাতা মণীশ
জিজ্ঞেস করল -"কি সবাই বাড়িতে আছে?"
গুন্ডা ন্যাতা বলে উঠল "পাশের পাড়ায় একটা লাশ পড়েছে খবর জানিস?"
পরম বলল "হ্যাঁ জানি, তার চেয়ে তোরাই তো ভালো বলতে পারিস"
ন্যাতার উত্তর এল "বলবি কিছু জানি না, আর কথা বললেই জানিস তো খবর আছে?"
পরমকে অবাক হতে দেখে ন্যাতা বলল "হ্যাঁ রে তোরা অত কি ভাবিস?
একটা রফা করে নে, আবার কি খুঁজিস?
জানিস ও পাড়ায় শ খানেক মেরুদন্ড বিক্রি আছে?"
সাথে ন্যাতা হুঁশিয়ারি দিল "দেখব তুই একা এ পাড়ায় কি করে থাকিস,
যখন সবাই তোর নামে করবে নালিশ
বলে দে না কত টাকায় তোর মেরুদন্ড বিক্রি আছে?"
পরম বলল "না, বেঁচে থাকতে যতই কর সাজিস
এ শর্মা পাত্তা দেয় না ওসব নালিশ ফালিশ,
এখানে বিক্রি নেই, মেরুদন্ড সোজা আছে?"
ন্যাতা বলল "আরে, তোর লাশ নিয়ে কি বানাব পাশবালিশ,
তোর মেয়ে তো রোজ যাচ্ছে অফিস
রাস্তায় একা ওর আসা যাওয়া লেগেই আছে?"
পরম বলল "ওকে কিছু করলে তোর খবর আছে জেনে রাখিস",
ন্যাতা বলল "ধূস, তুই আমার কি করবি, আমার হাতে যে সব তা তো ভালো করেই জানিস,
নিজের ছাড় অন্তত বউ, মেয়ের তো মেরুদন্ড ছাড়াও আরো কিছু খোয়ানোর আছে?"
রিটায়ার্ড বাপ পরম ফোন লাগাল, ওপাশে ফুলিশ
চমকে উঠলো "কি যে করেন না, চুপচাপ চেপে যান, এ সব বিশাল চাপের জিনিস",
গুন্ডা ন্যাতা বলল "আরে বলে দে না কয় টাকায় বিক্রি আছে?"
চোখ দুটো বন্ধ করে আঁকড়ে ধরে বালিশ
পরম বাধ্য হয়ে বলল "আমরা কিছু জানি না, যা পারিস করিস",
ন্যাতা বলল "এই তো লক্ষীছেলে, লিখে দি, তোমার বাড়িতে তিনটে মেরুদন্ড বিক্রি আছে?"