মায়াবী রাতের মায়াবিনী তুমি
দিয়েছ এলিয়ে চন্দ্রিমা,
ঘোর অমানিশি সরিয়ে তুমিই—
এনেছ পরাণে পূর্ণিমা।
মম পরাণের প্রাণশশী তুমি
স্বর্গীয় সুখ আনন্দ,
গোধূলিতে নয় তোমার কারণে
রক্তিম হয় দিগন্ত।
তুমিতো অধরা শান্ত স্নিগ্ধ,
অমোঘ দরদী অনন্যা,
আমার জীবন সঙ্গিনী তুমি—
জ্যোৎস্না স্নাত সুদেষ্ঞা।
আমার প্রেমের ষোলোকলা তুমি!
শুধু সে চাঁদের অংশ না,
লাস্যময়ী অসেচনক—
অপরিসীম সুদর্শনা।
তোমার অমন রূপের মাধূরী
চাঁদ ভরেছে আজ লাজে,
কোন সুরেতে মসগুল হয়ে
বাতাসে ভোরের রাগ বাজে?
তোমার সুবাসে হাসনুহানা
ভরাল পরাণ সেই বাসে।
প্রজ্জ্বলিত সপ্তর্ষি
দেখছে তোমায় কোন আশে?
সেই তোমারই পূজারী আমি
চেয়েছি আমার অসাধ্য—
তুমিই আমার অন্তর দেবী
তুমিই আমার আারাধ্য।