দগ্ধ সমাজের গায়ে ফোসকা পরা কৃষ্টির ওপর খানিকটা সমালোচনার নুনের ছিটে দিয়ে বলছি যে,
এ কেমন দিন আসলো আজ!

চারিদিকে কেবল রোম্যান সভ্যতার বর্বরতা, সীমাতিক্রান্ত অসভ্যতা, অসহিষ্ঞুতা, যৌন দংশনে ধর্ষণ, পর্যাপ্ত পরিমাণে রাহাজানি, শ্বাস রোধ করা অবিচার, বিবেকহীন নৃশংস ধান্দাবাজদের দাপটের পদচালন - শব্দ করে চলে ধূসর পৃথিবীর বুকের উপর দিয়ে।

কেউ যেন শুনেও শোনেনা!
কেউ যেন বুঝেও বোঝেনা!

প্রতিবাদ আছে ...কিন্তু সে বিবাদে অসমর্থ।
প্রতিরোধ আছে... কিন্তু সে যে নিজেই অবরুদ্ধ -ভীতসন্তস্ত্র।

মূল্যের কাছে জীবনের মূল্য রেজকির হিসাবে গোনা হয়। আর এরই গালভরা নাম  সমাজতন্ত্র!
একদল দিলদরিয়া স্ফূর্তি করে, আর একদল না খেতে পেয়ে মরে। এর নাম সমাজ।
একদলের ‘মহাজন’ নামের মাহাত্যে একদল তুঁতে খেয়ে আত্মহত্যা করে। এর নাম সমাজ।

এ সমাজে বাপ মেয়েকে নিষিদ্ধপল্লীতে বেচে দেয় — দুটো পয়সার জন্য,
এ সমাজে ছেলে বিধবা মাকে খুন করে— তার সম্পত্তি হলপ করার জন্য,
এ সমাজে চিকিৎসক বিনারোগে ওষুধ লেখে—বিদেশ ভ্রমণের নেশায়,
এ সমাজের শিক্ষকদের সাধারণ শিক্ষায় গাফিলতি থাকে —তাদের প্রাইভেট টিউশনের উন্মাদনায়।
ডাক্তার ইঞ্জিনীয়র উকিল শিক্ষক  ব্যাবসায়ী সমাজের তাবড় তাবড় পেশাদারীরা কেবল নিজেদের আখের গোছাতে ব্যাস্ত।
সমাজের পরোয়া কে করে!
সংস্কৃতির সং সাজার কেউ কোনো প্রয়োজনই বোধ করেনা।
অথচ এনারাই সব মানুষ।
ছিঃ!
মান আর হুঁশের মেলবন্ধনে মানুষ, এ সব তত্ত্ব কথা আজকাল বইতে লিখতেও লজ্জা লাগে। আর এর পরেও আমরা নিজেদের মানুষ বলে    'দাবী' করি l
কিন্তু মনুষত্বের নয়!
ভাবতেও ঘেন্না হয়।

তবে এখনও শত ছিছিৎকারের মধ্যেও কোটিতে গুটিক মনুষ্যত্ববোধ সম্পন্নের স্থান রয়েছে এই ধূসর পৃথিবীতে।
তাঁরা ... মানুষ।
তাঁরাই অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীর প্রজ্জ্বলিত আলোর প্রদীপ।

আমরা সবাই কেন পারিনা সেই প্রদীপের সলতেটুকু  হতে।