তোমাকে ডেকেছি চাঁদের ব্যালকনিতে
সুধীর দাস রূপম
দুঃখের নদী সাঁতরে চলে এসো তুমি
চাঁদ আকাশের ব্যালকনিতে বসতে দেবো
দুজনে মিলে দক্ষিণের জানালায় রাতের হাসনাহেনার গন্ধ মাখবো
ভোরের সোনালী সূর্যের আকাশে তোমাকে সাজাবো স্বেত বলাকা।
গোধূলির রং ধনুতে তোমার কপালে পড়াবো লাল টিপ, সাদা জ্যোৎস্নায় তোমাকে বানাবো নক্ষত্র চাঁদ।
সন্ধ্যার আকাশে উঠবে ঝলমল শুকতারা।
ভাঙতে ভাঙতে নদী হয়
তারপরও জমা হয় বালুকাময় সবুজ সোনালী ক্ষেত তীরে তীরে
কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল ঝরে
তারপরও ভালোবাসা জমা থাকে চোখের কোনে
প্লাবিত জোছনার মতো।
কষ্ট পেতে পেতে কষ্টিপাথর
কয়লার ভেতর সোনালী স্বর্ণের গহবর
তারপর পুড়তে পুড়তে খাঁটি সোনা।
যা-কিছু চলে গেছে যাক না
যে পাখি উড়ে গেছে যাক না
আবার স্বপ্নের ঘর তৈরি করি পৃথিবীর সকল যন্ত্রণার উল্টা পিঠে।
একটা শক্ত হাত ভালবাসার কাঙ্গাল
একটা হৃদয় ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত
একটা প্রেম প্রতারণায় ব্যবচ্ছেদ
তার বুকে রয়েছে এক বুক ভালোবাসা, আছে এতোটুকু নির্ভরতা
আছে বিশ্বাস, আছে এক আকাশ স্বপ্ন!
হারিয়ে গেছে সব তোমার আমার
আর কি আছে বলো হারাবার?
দুঃখ তো দুঃখীর কাছে মেশে
ভালোবেসে দুই পায়ে দাঁড়াবার।
কষ্টের নদী সাঁতরে চলে এসো তুমি হে দেবী,
তুমি শরৎচন্দ্রের বিলাসী হয়ে
মৃত্যুঞ্জয়কে বাঁচাও।
কলকাতা, ইন্ডিয়া
রাত-০১,০১
০৯,১২,২১